অনাবশ্যক কোনো ভ্রমণের পরিকল্পনা করে থাকলে কানাডিয়ানদের তা বাতিল করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। অনাবশ্যক প্রয়োজনে এক প্রদেশ থেকে আরেক প্রদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলে এই মুহূর্তে তাও বাদ দিতে বলেছেন তিনি। সংক্রমণ বাড়তে থাকার পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, একজনের খারাপ সিদ্ধান্তের ফলে অন্যদের জীবন ঝুঁকিতে পড়–ক, আমরা কখনই সেটা চাইব না। বাইরে থেকে ভাইরাসটি যাতে না আসতে পারে সেজন্য সীমান্তে কঠোরতা অবলম্বনের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে ভাবছে সরকার। তবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য যাতে বিঘিœত না হয় সেদিকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কানাডায় আসা বাণিজ্যিক ফ্লাইটগুলোর যাত্রীদের অনেকের ভ্রমণই হয়তো অত্যাবশ্যক নয়, তবে উড়োজাহাজে থাকা কার্গো অত্যাবশ্যক।
কানাডার নাগরিক বা স্থায়ী বাসিন্দা নন, অত্যাবশ্যক না হলে এমন ব্যক্তিদের কানাডায় প্রবেশ গত বছরের মার্চ থেকেই নিষিদ্ধ রয়েছে। তবে কানাডায় প্রবেশ ও কানাডা থেকে বের হওয়া বন্ধে এটি খুব যে কাজে আসছে তা নয়।
ট্রুডো বলেন, বাইরে থেকে কানাডায় আসা অধিকাংশকেই বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। তা না হলে আর্থিক জরিমানা এমনকি জেলেও যেতে হতে পারে। এর পাশাপাশি বর্তমানে কানাডায় প্রবেশের আগে কোভিডমুক্ত সনদ প্রদর্শন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
৭ জানুয়ারি থেকে নিয়মটি কার্যকর হয়েছে। যদিও উপাত্ত বলছে, এরপর এমন অনেক ফ্লাইট কানাডায় অবতরণ করেছে যেগুলোর একাধিক যাত্রীকে কোভিড রোগী হিসেবে পাওয়া গেছে। গত সপ্তাহে ক্যালগেরি বিমানবন্দরে অবতরণকারী যাত্রীদের ১ দশমিক ১৫ শতাংশ কোভিড পজিটিভ হয়েছেন। টরন্টোর পিয়ারসন বিমানবন্দরে এ হার ২ শতাংশের ওপরে।