কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের জন্য যত সংখ্যক অন্টারিওবাসী অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করছেন তা বিদ্যমান সক্ষমতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রদেশের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। দৈনিক ভ্যাকসিনের উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, মধ্য ডিসেম্বরে প্রদেশ প্রতিদিন ২ লাখ থেকে ৩ লাখ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্য স্থির করেছিল। এরপর থেকে মাত্র চার দিন এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে।
এই অবস্থায় অন্টারিও জনস্বাস্থ্য বিভাগের চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. কিয়েরান মুর বৃহস্পতিবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে জনগণকে দ্রুত অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করার আহ্বান জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি এও বলেছেন যে, বর্তমানে অতিরিক্ত সক্ষমতা অব্যবহৃত আছে।
ডা. কিয়েরান মুর বলেন, প্রথম, দ্বিতীয় বা তৃতীয় যে ডোজের জন্যই হোক বিদ্যমান নির্ধারিত দিনের পরিবর্তে আপনার যদি আগেভাগেই ভ্যাকসিন নেওয়ার সুযোগ থাকে তাহলে পুনরায় অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করুন।
বর্তমানে ১৮ বছর ও তার বেশি বয়সী যে কারো দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর ৮৪ দিন অতিবাহিত হলে তিনি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের তৃতীয় ডোজ নিতে পারবেন। এই বয়সী ৪৪ দশমিক ৩ শতাংশ অন্টারিওবাসী এখন পর্যন্ত বুস্টার ডোজ নিয়েছেন। ৬০ বছর ও তার বেশি বয়সীদের তুলনায় এ হার বেশি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ক্রিস্টিন এলিয়টের কার্যালয় থেকে শুক্রবার এক ইমেইলে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে ভ্যাকসিন দেওয়ার যে সক্ষমতা চাহিদা তার চেয়ে কম। প্রদেশের বুস্টার ডোজের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ রয়েছে বলে ডা. কিয়েরান মুর জানালেও সক্ষমতার তুলনায় চাহিদা এখনও কম। চাহিদার ওপর ভিত্তি করে আমরা দৈনিক ২ লাখ থেকে ৩ লাখ মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে সক্ষম। বর্তমানে যথেষ্ট সক্ষমতা রয়েছে এবং দ্রুত যারা ভ্যাকসিন নিতে চান তাদের জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্টের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
যত দ্রুত সম্ভব নাগরিকদের বুস্টার ডোজ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রদেশের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। কারণ, ওমিক্রনের বিরুদ্ধে এটি শক্তিশালী সুরক্ষা দিচ্ছে এবং বর্তমান ঢেউয়ের বিরুদ্ধে এটাই প্রধান অস্ত্র। আগামী সপ্তাহ থেকে বুস্টার ডোজের জন্য যারা অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়েছেন তাদের কাছে স্বয়ংক্রিয় বার্তা যাবে, যার ফলে তারা অ্যাপয়েন্টমেন্ট এগিয়ে নিতে পারবেন। প্রদেশের যেসব এলাকায় সক্ষমতা আছে সেসব এলাকার বাসিন্দাদের কাছে আাগামী সপ্তাহ থেকে এ বার্তা পাঠানো হবে।