মূল্যস্ফীতির বিষয়টি নিয়মিতই রাজনৈতিক বিষয় হয়ে ওঠে। তবে এজন্য রাজনৈতিক অঙ্গনের কাউকে দোষারোপ করা উচিত নয় বলে মনে করেন ব্যাংক অব কানাডার সাবেক গভর্নর স্টিফেন পোলোজ।
গ্লোবাল নিউজের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, মহামারি থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টায় অর্থনৈতিকভাবে খুব বেশি তাড়াহুড়ো ছিল না এবং এটা প্রশংসনীয়। আরেকটি মহামন্দা এড়াতে নীতিগুলো কাজ করেছে এবং এজন্য আমরা ভাগ্যবান। কোভিড-১৯ মহামারি শুরু হওয়ার পর অনেক অর্থনীতিবিদই দ্বিতীয় মহামন্দার উদ্বেগে ছিলেন।
জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির বিষয়টি উল্লেখ করে পোলোজ বলেন, জনগণ এই নিশ্চয়তা চায় যে আর্থিক পরিকল্পনা টেকসই অবস্থায় রয়েছে। তারা এমন একটা পরিকল্পনা দেখতে চায়, যা তাদেরকে উৎকণ্ঠা থেকে মুক্তি দেবে।
রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড যে আর্থিক হালনাগাদ প্রকাশ করতে যাচ্ছেন তা ২০১৫ ও ২০১৯ সালের নির্বাচনের পর যেমনটা ছিল তেমনই হবে। এতে ব্যবসার জন্য কোভিড-১৯ সহায়তা ও মহামারি থেকে উত্তরনের পথ থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ব্যাংক অব কানাডার তথ্য অনুযায়ী, মূল্যস্ফীতি ব্যাংক নির্ধারিত ২ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি থাকবে। সরবরাহ ব্যবস্থার সংকট জিনিসপত্রের দামের ওপর প্রভাব ফেলেছে এবং ২০২১ সালে মূল্যস্ফীতির হার ৪ দশমিক ৪ শতাংশে পৌঁছে গেছে। মহামারির আগের ২০ বছরের উপাত্তের দিকে তাকালে এক বছরে মূল্যস্ফীতির এতো উচ্চ হারকে নজিরবিহীনই মনে হবে। গত বছরে মূল্যস্ফীতি ছিল গড়ে ১ দশমিক ৪ শতাংশ।
ব্যাংক অব কানাডার ওয়েবাসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ব্যাপক চাহিদার সঙ্গে সরবরাহ ব্যবস্থার সংকট যোগ হয়ে মূল্যস্ফীতি এতো বেড়েছে। এর ফলে ব্যবসা ও ভোক্তাদের খরচ অনেক বেড়ে গেছে।
ব্যাংক অব কানাডার ডেপু্িট গভর্নর টনি গ্র্যাভেল গত ৯ ডিসেম্বর এক বক্তব্যে বলেন, কানাডায় মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
২০২০ সালের মার্চে মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে ব্যাংক অব কানাডা সুদের হার দশমিক ২৫ শতাংশে অপরিবর্তীত রেখেছে। এবং এটা তারা অব্যাহত রাখবে বলে সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছে। তবে ২০২২ সালে সুদের হার বাড়তে পারে বলে ইঙ্গি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।