কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে কানাডা। এবং ওমিক্রন যদি ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের জায়গা নেয় তাহলে সংক্রমণের গতি বাড়তে পারে বলে শুক্রবার জানিয়েছেন কানাডার প্রধান জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তেরেসা ট্যাম।
ফেডারেল সরকারের নতুন মডেলিং বলছে, ওমিক্রন যদি ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় তিনগুন সংক্রামক এবং আধিপত্যকারী ভ্যারিয়েন্ট হয়ে ওঠে তাহলে জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় নাগাদ কানাডায় দৈনিক সংক্রমণ ২৬ হাজার ৬০০তে পৌঁছে যাবে। বর্তমানে দেশটিতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৩০০। তবে ডেল্টা যদি আধিপত্যকারী ভ্যারিয়েন্ট হিসেবে তার অবস্থান ধরে রাখে সেক্ষেত্রে মধ্য জানুয়ারি নাগাদ দৈনিক সংক্রমণ দাঁড়াতে পারে ২ হাজার ৯০০। সংক্রমণ যদি একই অবস্থায় থাকে তাহলে কানাডায় দৈনিক সংক্রমণ দাঁড়াবে ৭ হাজারে। তবে ওমিক্রন আধিপত্যকারী ভ্যারিয়েন্ট হয়ে উঠলে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর সংখ্যা কেমন হতে পারে সে ব্যাপারে কোনো পূর্বাভাস দেয়া হয়নি মডেলিংয়ে।
ডা. তেরেসা ট্যাম বলেন, এখন পর্যন্ত গবেষকরা ওমিক্রনে আক্রান্ত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কোভিড রোগীর সন্ধান পেয়েছেন। তবে ভ্যারিয়েন্টটি কতটা গুরুতর অসুস্থতা ডেকে আনতে পারে তা জানতে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। সেই সঙ্গে আসন্ন ছুটিতে সবাইকে সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দেন তিনি।
ওমিক্রনের কারণে খুব সামান্য সংখ্যক রোগীই গুরুতর অসুস্থ্য বা মারা গেলেও ভাইরাসটি যদি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে তাহলে হাসপাতাল ও আইসিইউয়ের ওপর বড় ধরনের চাপ তৈরি হবে। ডা. তেরেসা ট্যাম বলেন, শীতকাললটা আমাদের জন্য অতোটা মসৃণ হতে যাচ্ছে না। এছাড়া ওমিক্রন সম্পর্কে অনেক কিছুই এখন পর্যন্ত আমরা জানি না। এখন পর্যন্ত যা জানা গেছে তা হলো ভ্যারিয়েন্টটি খুবই সংক্রামক।
তিনি বলেন, কানাডার সাতটি অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ওমিক্রনে আক্রান্ত ৮৭ জন কোভিড রোগী সনাক্ত করা গেছে। আক্রান্তদের সবারই হয় উপসর্গ নেই অথবা উপসর্গ থাকলেও তা মৃদু।
প্রথমদিকে ওমিক্রনে আক্রান্ত যেসব কোভিড রোগী পাওয়া গিয়েছিল তাদের সবারই হয় আন্তর্জাতিক ভ্রমণের ইতিহাস আছে অথবা এ ধরনের কারও সংস্পর্শে এসেছেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে আক্রান্তদের কারও আন্তর্জাতিক ভ্রমণের ইতিহাস নেই। এ থেকে গোষ্ঠী সংক্রমণের একটা ধারণা পাওয়া যায়।
এ অবস্থায় ছুটির মৌসুমে জমায়েত ছোটো রাখার পাশাপাশি স্থানীয় জনস্বাস্থ্য বিধিনিষেধ মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন ডা. তেরেসা ট্যাম। আর পুরোপুরি ভ্যাকসিনেটেড ব্যক্তিদেরও ইনডোরে মাস্ক পরিধানের পাশাপাশি ঘরেরর জানালা খোলা রাখার পরামর্শ দিয়েছেন উপ প্রধান জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. হাওয়ার্ড এনজু।