পুলিশের জন্য ডিজিটাল এভিডেন্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালুর পরিকল্পনা করছে অন্টারিও সরকার। এর ফলে কর্মকর্তারা অফিসে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ কাজের পরিবর্তে অপরাধ দমনে মনোযোগ বাড়ানোর সুযোগ পাবেন।
সলিসিটর জেনারেল সিলভিয়া জোন্স বলেন, ক্লাউডভিত্তিক পদ্ধতিটি পুলিশকে ডিজিটাল প্রমাণ নিরাপদে সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিনিময়ের সুযোগ করে দেবে। এর ফলে পুলিশ তাদের মূল কাজে আরও বেশি মনোযোগ দিতে পারবেন। কারণ, এ ব্যবস্থায় অপরাধের প্রমাণগুলো ব্যবস্থাপনার পেছনে অনেক কম সময় ব্যয় হবে।
প্রকল্পটির কাজ পেয়েছে অ্যাক্সন পাবলিক সেফটি কানাডা। তবে এজন্য কী পরিমাণ ব্যয় হচ্ছে সে সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে চাননি সলিসিটর জেনারেল। তিনি বলেন, ডিজিটাল এভিডেন্স সিস্টেমের ফলে বড় আকারে অডিও-ভিডিও ফাইল ও ফোটো সহজেই সংরক্ষণ এবং ক্রাউন অ্যাটর্নি ও অন্য পুলিশ ফোর্সের কাছে পাঠানো সম্ভব হবে। আদালতের সামনে ইউএসবি এবং ডিভিডি উপস্থাপনের প্রয়োজন পড়বে না।
অন্টারিও প্রভিন্সিয়াল পুলিশ, ফার্স্ট নেশনস পুলিশ এবং কারেকশনাল সার্ভিসেস ওভারসাইট ও ইনভেস্টিগেশন ইউনিটকে এটি সরবরাহ করা হবে। পিল রিজিয়ন পুলিশ ও টরন্টো পুলিশ অ্যাক্সকের ডিজিটাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমটি আগে থেকেই ব্যবহার করছে।
পিল রিজিয়নের পুলিশ প্রধান নিশান দুরাইয়াপ্পা বলেন, ডিজিটাল এভিডেন্স সিস্টেম কর্মকর্তাদের প্রশাসনিক কাজের চাপ অস্বাভাবিক রকমে কমিয়ে দিয়েছে।
পাঁচ বছর আগে টরন্টো পুলিশ যখন বডি ক্যামেরা ব্যবহার শুরু করে তখন অপরাধের প্রমাণ ক্লাউডে সংরক্ষণ নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। কারণ, সার্ভারের অবস্থান ছিল অন্য দেশে। তবে নতুন এডিডেন্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমটি প্রদেশভিত্তিক হবে বলে জানিয়েছেন জোন্স। তিনি বলেন, আমরা এই নিশ্চয়তা দিচ্ছি যে, এঅন্টারিওতেই থাকবে এটি।