আগামী বছর ভ্যাকসিন বুস্টার শটের প্রয়োজন হলে যাতে তার সরবরাহ পাওয়া যায় সেজন্য সরবরাহকারদের সঙ্গে আলোচনা করছে কানাডা। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা মাঝামাঝি অবস্থানে পৌঁছেছে বলে জানান ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রী অনীতা আনান্দ।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ২০২২ সালের জন্য আমরা সক্রিয় পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছি। এই মুহূর্তে ভ্যাকসিন পাওয়াটা কানাডার প্রথম অগ্রাধিকার। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও আরও কয়েকটি দেশের চেয়ে পিছিয়ে থাকার মধ্যেই গত মাসে কানাডার ভ্যাকসিনেশনে লক্ষ্যণীয় গতি এসেছে।
সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ প্রত্যেক নাগরিক যাতে ফাইজার-বায়োএনটেক অথবা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা অথবা মডার্নার দুই ডোজ অথবা জনসন অ্যান্ড জনসনের এক ডোজ ভ্যাকসিন পান সেই প্রত্যাশা করছে কানাডা। তরুণরাও সে নাগাদ ভ্যাকসিন পেয়ে যাবেন। তবে ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য ভ্যাকসিনের অনুমোদন পেতে অন্তত ফল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
তারপরও বাড়তি বুস্টার শটের প্রয়োজন হবে বলে মনে করছেন অনেক বিশেষজ্ঞ। রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে স্মরণ করিয়ে দিতে অথবা কোভিড-১৯ এর জন্য দায়ী নতুন ভ্যারিয়েন্ট থেকে সুরক্ষা পেতে এর প্রয়োজন হতে পারে বলে জানান তারা।
বুস্টার শটের অনুমোদনের পরিকল্পনা শুরু করেছে হেলথ কানাডা। তবে মূল ভ্যাকসিন অনুমোদনের জন্য যে ব্যাপকভিত্তিক পরীক্ষার প্রয়োজন, এক্ষেত্রে সেটা লাগবে না। প্রতি বছর ফ্লু শট যে প্রক্রিয়ায় অনুমোদন দেওয়া হয় এর অনুমোদনও দেওয়া হবে সেভাবেই।
হেলথ কানাডা অনুমোদিত চারটি কোম্পানির ১১ কোটি ৭৬ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন এরই মধ্যে কিনেছে কানাডা। নোভাভ্যাক্স, মেডিকাগো অথবা সানোফি-গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইনের ভ্যাকসিন অনুমোদন দিলে আরও ১২ কোটি ৪০ লাখ ডোজ কিনতে পারবে দেশটি। এছাড়া আরও ১৮ কোটি ডোজ ক্রয়ের সুযোগও রাখা হয়েছে।
তবে বিদ্যমান চুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে বুস্টার শট পাওয়া যাবে না বলে জানান অনীতা আনান্দ। তিনি বলেন, কিছু ক্ষেত্রে আমরা চুক্তি সংশোধন করছি। কিছু ক্ষেত্রে আবার অতিরিক্ত চুক্তির জন্য আলোচনা করছি। ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স সরকারকে সুপারিশ করলে বিদ্যমান সরবরাকারকদের বাইরে অন্যদের কাছ থেকেও কানাডা ভ্যাকসিন চাইতে পারে বলে জানান অনীতা আনান্দ।
ভ্যাকসিনেশন হারে এক মাস আগেও বিভিন্ন দেশের মধ্যে কানাডার অবস্থান ছিল ৫০তম। তবে গত চার সপ্তাহে ভ্যাকসিনেশনে লক্ষ্যণীয় গতি এসেছে। মাসখানে আগে প্রতি এক হাজারজনের মধ্যে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল যেখানে ৩ দশমিক ৫ ডোজ, এখন তা বেড়ে হয়েছে সাত ডোজ। যুক্তরাষ্ট্রকে বাদ দিলে ভ্যাকসিনেশনের হারে কানাডা এখন জি৭ ও জি২০ভূক্ত সব দেশের চেয়ে এগিয়ে।