কোভিড-১৯ সংক্রমণ বাড়তে থাকায় অন্টারিওবাসীদের আরও খারাপ পরিস্থিতির কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ড। তিনি বলেন, মৌলিক স্বাস্থ্যবিধি যদি অব্যাহতভাবে অগ্রাহ্য করা হয়, তাহলে এর ফলাফল হবে ভয়াবহ। তাই প্রদেশের লকডাউন জানুয়ারিতে শেষ হচ্ছে। বরং আরও কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করতে হবে আমাদের। কারণ, মহামারি শুরুর পর সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে আছি আমরা। কোভিড-১৯ এর নতুন মডেলিং প্রকাশ করা হবে, যা হবে সত্যিই চমকে ওঠার মতো।
ডগ ফোর্ড বলেন, সম্ভাব্য সব কিছুই আমাদের বিবেচনার মধ্যে আছে। সংক্রমণ রোধে আমাদের আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। কারণ, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে এবং যা কিছু করার তা আমাদের করতে হবে। আমরা সংকটের মধ্যে আছি। সত্যিই এটা ভয়ের। এ পরিস্থিতিতে আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
এ অবস্থায় নতুন কি কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে? এ প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে থামতে হয় ডগ ফোর্ডকে। তিনি বলেন, এ সপ্তাহের শুরুর দিকে কুইবেকে যেমনটা করা হয়েছিল সেভাবে অন্টারিওতে কারফিউ জারির কথা ভাবা হচ্ছে।
অন্টারিও স্বাস্থ্য বিভাগের অ্যাসোসিয়েট চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. বারবারা ইয়াফ বলেন, সংক্রমণ বর্তমানে যে হারে ছড়াচ্ছে তাতে করে স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের আরও কঠোর পদক্ষেপের কথা ভাবতে হচ্ছে। গত বসন্তে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল।
তিনি বলেন, শুক্রবারের সংক্রমণের যে সংখ্যা, তা সত্যিই ভয়ের। প্রদেশের হাসপাতালগুলো কোভিড ও নন-কোভিড রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। হাসপাতালগুলোকে ঐচ্ছিক অনেক অস্ত্রোপচার বিলম্বিত করতে হচ্ছে।
প্রদেশের ভ্যাকসিনেশন নিয়েও কথা বলেন প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ড। ভ্যাকসিনের সরবরাহ শেষ হয়ে আসছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিদিনই স্বাস্থ্যকর্মী, লং-টার্ম কেয়ার হোমের বাসিন্দা ও ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করছি। কিন্তু ভ্যাকসিন দ্রুত শেষ হয়ে আসছে। এখন পর্যন্ত প্রদেশে ৮৭ হাজার ৫০০ ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে। কানাডার যেকোনো প্রদেশের তুলনায় সংখ্যাটা বেশি। বর্তমান হারে ভ্যাকসিনেশন চলতে থাকে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই ফাইজারের ভ্যাকসিন হয়তো ফুরিয়ে যাবে।
তবে ফেডারেল সরকার প্রদেশের জন্য আরও ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করবে বলে আশা প্রকাশ করেন ডগ ফোর্ড। তা না হলে হাসপাতালগুলোকে ভ্যাকসিন প্রয়োগ বন্ধ রাখতে হবে।