‘শিখ হেরিটেজ মান্থ’ উদযাপন উপলক্ষ্যে পিল ডিস্ট্রিক্ট স্কুল বোর্ড (পিডিএসবি) আয়োজিত এক অনলাইন অনুষ্ঠানে বর্ণবাদী আচরণের অভিযোগ উঠেছে। অপরিচিত কয়েকজন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তাদের ইউজারনেম থেকে বর্ণবাদী ও বৈষম্যমূলক বিভিন্ন মন্তব্য করেন। এনডিপি নেতা জাগমিৎ সিংও ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পিডিএসবির শিক্ষা বিষয়ক পরিচালক কলিন রাসেল-রলিনস ও পিডিএসবির সুপারভাইজর ব্রুস রদ্রিগেজ টুইটারে এক পোস্টে বলেন, অনাকাক্সিক্ষত এ পরিস্থিতি সৃষ্টিকারী অ্যাকাউন্টগুলো ব্লক করতে তৎক্ষণাত পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এ ঘটনার তদন্তও শুরু হয়েছে।
অনাকাক্সিক্ষত এ পরিস্থিতির জন্য অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী, শিখ সম্প্রদায়ের লোকজন ও অতিথি বক্তা জাগমিৎ সিংহের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন পিডিএসবির কর্মকর্তারা। কর্মকর্তারা বলেন, অনলাইন অনুষ্ঠানটি অংশগ্রহণকারী সব স্কুলের জন্যই তথ্যভিত্তিক ছিল। অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ায় জাগমিৎ সিংয়ের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।
শিক্ষার্থী, কর্মী ও বিশেষ অতিথিদের প্রতি বর্ণবাদী ও ঘৃণাত্মক আচরণের ক্ষতির বিষয়টি স্বীকার করেছে পিল ডিস্ট্রিক্ট স্কুল বোর্ড। ঘৃণাত্মক এ আচরণ ছিল মূলত শিখ, দক্ষিণ এশীয়, কৃষ্ণাঙ্গ ও ২এসএলজিবিটিকিউপ্লাস কমিউনিটিকে উদ্দেশ্য করে। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীরা যে ধরনের ভাষা প্রয়োগ করে কোনোমতেই তা গ্রহণযোগ্য ও মেনে নেওয়ার মতো নয়।
পিডিএসবি বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছে এবং বর্ণবাদী ও বৈষম্যমূলক আচরণে অংশগ্রহণকারীদের অবশ্যই জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে বলে জানান কর্মকর্তারা। তবে বর্ণবাদী এ আচরণ শিখ হেরিটেজ মান্থ উদযাপন থেকে তাদেরকে থামাতে পারেনি বলেও মন্তব্য করেন তারা। আর পিডিএসবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পুরো এপ্রিলজুড়ে শিখ হেরিটেজ মান্থ উদযাপন চলবে।
এর আগে শিখ হেরিটেজ মান্থ উপলক্ষে শুভকামনা জানিয়ে টুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করেন জাগমিৎ সিং। পোস্টে তিনি বলেন, শিখদের জন্য এপ্রিল একটি বিশেষ মাস। কারণ, এই মাসেই আমরা শিখ সংস্কৃতির প্রতিষ্ঠা উদযাপন করে থাকি। এই উদযাপনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মূল্যবোধ হলো, সবার কাছে এই ধারণা পৌঁছে দেওয়া যে, আমরা সবাই এক, আমরা সবাই একে অন্যের সঙ্গে সংযুক্ত। একে অন্যকে টেনে তোলা আমাদের সবারই দায়িত্ব, যাতে করে আমরা একসঙ্গে চলতে পারি।