চলমান কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছে কানাডিয়ান শিশুরা। শিশুদের জন্য এটা এতোটাই বেশি ক্ষতিকর যে এ বিষয়ে সরকার যাতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে সে লক্ষ্যে #ঈড়ফবচরহশ নামে নতুন একটি প্রচারণা শুরু করেছে শিশু বিষয়ক বিভিন্ন সংগঠন।
কোড পিংক শব্দযুগলটি শিশু জরুরি অবস্থা ঘোষণার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে দেশে ঠিক তেমন পরিস্থিতিই বিরাজ করছে। আত্মহত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে শিশু হাসপাতালগুলোয় ভর্তি ১০০ শতাংশ বেড়ে গেছে। সাবস্ট্যান্স অ্যাবিউজ ডিজঅর্ডারের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে ২০০ শতাংশ। শিশু নির্যাতনের ঘটনাও লক্ষ্যণীয় হারে বেড়েছে। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে শিশুদের মধ্যে ফ্র্যাকচার ও হেড ট্রমার ঘটনাও বেড়েছে অস্বাভাবিক। আর মানসিক সুস্থতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৬ থেকে ১৮ বছর বয়সী ৭০ শতাংশ কানাডিয়ান শিশুর।
চিলড্রেন ফার্ষ্ট কানাডার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সারা অস্টিন এক বিবৃতিতে এ প্রসঙ্গে বলেন, স্বাস্থ্য সংকট ভঙ্গুর জনগোষ্ঠীর শিশুদের বেশি ক্ষতি ডেকে আনছে। এদের মধ্যে আছে ফার্স্ট নেশন্স, মেটিস ও ইনুইট শিশু, কৃষ্ণাঙ্গ ও অন্য জাতিগোষ্ঠীর শিশু এবং শারীরিক প্রবিন্ধকতা ও জটিল চিকিৎসা নিয়ে টিকে থাকা শিশুরা।
কানাডিয়ান শিশুদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতায় সহায়তা নিশ্চিত করতে প্রিমিয়ারদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে কোড পিংক প্রচারণায়। এর অংশ হিসেবে স্কুল, ক্যাম্প, পার্ক ও অন্যান্য বিনোদন কেন্দ্র যত দ্রুত সম্ভব পুনরায় খুলে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
পাশাপাশি ভার্চুয়াল কেয়ার প্রোগ্রাম, জমে যাওয়া অস্ত্রোপচার ও অন্যান্য পুনর্বাসন কার্যক্রম কমিয়ে আনা ও বর্ধিত চাহিদা পূরণে মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নতুন মডেলে বিনিয়োগের আহ্বানও জানানো হয়েছে। শ্রেণিকক্ষে স্বল্প সংখ্যক উপস্থিতি ও ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা উন্নতির মাধ্যমে আসছে ফলে স্কুল খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা এখন থেকে শুরু করার আহ্বানও জানানো হয়েছে।
সিক কিডস হসপিটালের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. রোনাল্ড কোহন এক বিবৃতিতে বলেন, এখনই যদি আমরা পদক্ষেপ না নিই তাহলে প্রাপ্ত বয়স্ক পরবর্তী প্রজন্মের উন্নয়ন ঝুঁকিতে পড়বে। মহামারি পরবর্তী পৃথিবীতে শিশুদের জন্য ভালো একটি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে দ্রুত ও টেসসই সরকারি অর্থায়নের এখনই সময়।
উল্লেখ্য, কোড পিংক উদ্যোগটির আয়োজক ন্যাশনাল চ্যারিটি চিলড্রেন ফার্স্ট কানাডা এবং কানাডার বিভিন্ন স্বাস্থ্য সংগঠন। এসব সংগঠনের মধ্যে আছে আলবার্টা চিলড্রেন’স হসপিটাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট, চিলড্রেন’স হসপিটাল ফাউন্ডেশন, সিএইইও, চিলড্রেন’স হেলথকেয়ার কানাডা, হল্যান্ড ব্লারভিউ কিডস রিহ্যাবিলিটেশন হসপিটাল, ম্যাকমাস্টার চিলড্রেন’স হসপিটাল, দ্য হসপিটাল ফর সিক চিলড্রেন ও দ্য ইয়াং কানাডিয়ান’স হেলথ রাউন্ডটেবিল।