২০২০ সাল শুরু হয়েছিল ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে ওয়েট’সুয়েট’এন অঞ্চলে আদিবাসীদের শোডাউনের মধ্য দিয়ে। সেখানে সাগরে কোস্টাল গ্যাসলিংক পাইপলাইন বাসনোকে কেন্দ্র করে এ শোডাউন। জনগণ একটি সার্ভিস সড়ক অবরোধ করলে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ। আর প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো একে আন্তর্জাতিক আইনের বিষয় বলে দায় সারেন। আন্দোলনের সমর্থনে কানাডার অন্যান্য অঞ্চলেও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। মার্চে মহামারির প্রথম ঢেউ শুরু হওয়ার সময় অন্টারিওতে সড়ক অবরোধও করা হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে নোভা স্কটিয়ার বে অব ফান্ডির লবস্টার ফিশারিতে অগ্নিসংযোগ ও মারামারির ঘটনা ঘটে। সিপেকনে’কাতিক ফার্স্ট নেশন লবস্টার বোট নামালে বাণিজ্যিক কর্মীরা তার প্রতিবাদ জানায় এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
অন্টারিওর ক্যালেডোনাতেও গ্র্যান্ড রিভারের সিক্স নেশনের দাবিকৃত জমিতে আবাসন নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। মধ্য জুলাই আদিবাসীরা ওই এলাকার কিছু অংশ দখলে নিয়ে তাঁবু গাড়ে এবং পরবর্তীতে ১৫০ দিনের বেশি সেখানে অবস্থান করে। আন্দোলনের কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষ হয়ে ল্যান্ড ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানটি অন্টারিও সরকারের বিরুদ্ধে সম্প্রতি মামলা দায়ের করেছে।
এ ধরনের বিক্ষোভ দমনে অন্টারিও পুলিশ দীর্ঘদিন যাবৎ যে কৌশল অবলম্বন করে আসছে তাতে পরিবর্তন আনার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় পুলিশ বোর্ডের চেয়ারম্যান।
এসবের জন্য সবার দৃষ্টিই এখন অটোয়ায় প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর দিকে। পাঁচ বছর সরকারে থেকেও আদিবাসীদের সহায়তার অনেক সুযোগই তিনি হারিয়েছেন। এর মধ্যে সুপেয় পানি সরবরাহ যেমন আছে, একইভাবে আছে জমি ও অন্যান্য সম্পদে তাদের অধিকারের বিষয়ও।
আরও কিছু বিষয়ও এর সঙ্গে জড়িত। উদাহরণ হিসেবে বি.সিতে নির্বাচিত ও উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া নেতৃত্বের বৈধতা নিয়ে যে দাবি সেটার কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। এছাড়া আন্তর্জাতিক চুক্তিও আছে, যার ফলে কানাডিয়ানরা ভালোমতোই জানে যে, সারা বিশে^র নজর রয়েছে তাদের ওপর।
গত ডিসেম্বরে লিবারেল সরকার একটি বিল এনেছে, যেখানে কানাডার সব আইনকে আদিবাসীদের অধিকারের বিষয়ে জাতিসংঘের যে ঘোষণা তার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হওয়ার কথা বলা হয়েছে।