
কানাডায় ধুমপানের হার কমার পেছনে কোভিড-১৯ মহামারি কাজ করেছে বলে জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্য ও তামাক নিয়ন্ত্রণ বিশেষজ্ঞ ডেভিড হ্যামন্ড। ইউনিভার্সিটি অব ওয়াটারলুর জনস্বাস্থ্য বিভাগের এই অধ্যাপকের নিজের গবেষণার পাশাপাশি স্ট্যাটিস্টিকস কানাডার প্রতিবেদনেও কানাডায় ধুমপানের হার কমার তথ্য উঠে এসেছে। কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ ও ফেডারেল সরকারের কয়েক বছর ধরে তামাকবিরোধী প্রচারণার কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন ডেভিড হ্যামন্ড। ধুমপানের হার কমার পেছনে ভ্যাপিং ইন্ডাস্ট্রিও একটা কারণ বলে মনে করেন এই গবেষক।
ডেভিড হ্যামন্ড বলেন, আপনারা সবাই জানেন যে, আমাদেরকে বেশিরভাগ সময়ই বাড়িতেই থাকতে হচ্ছে। অবস্থায় বারান্দায় এসে আপনার বাবা-মার সঙ্গে ধুমপান করাটা অত সহজ নয়। যেমনটা আপনি করতে পারেন আপনার বন্ধুদের সঙ্গে। কোভিডের কারণে স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগেরও এর সঙ্গে একটা সম্পর্ক রয়েছে বলে আমার কাছে মনে হয়।
এক দশক আগে সিগারেট প্যাকেজিং ও মিথানল সিগারেট নিষিদ্ধ করার নীতি বাস্তবায়ন করেছে কানাডা। ধুমপান কমার পেছনে এটাকেও কারণ হিসেবে দেখছেন হ্যামন্ড। তার মতে, আমরা খুব বেশি তরুণকে যে এখন ধুমপান করতে দেখছি না সেটা এসবেরই ফলাফল।
২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত একটি সমীক্ষা চালিয়েছে স্ট্যাটিটিস্টিকস কানাডা। তাতে সার্বিকভাবে ধুমপানের হার কমেছে ২০১৯ সালের তুলনায় ৫ শতাংশ। এদের বড় অংশই ২০ থেকে ২৪ বছর বয়সী তরুণ। তবে গত মাসেও সব বয়সীদের মধ্যে ভ্যাপিং নেওয়ার হার একই রকম ছিল। গত মাসে ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী ১৪ শতাংশ ভ্যাপিং নেওয়ার কথা জানিয়েছে। তবে ২০ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে এ হার ১৩ শতাংশ। ২০১৯ সালে এ হার ছিল যেখানে ১৫ শতাংশ। অন্যদিকে ২৫ বছর ও তার বেশি বয়সীদের মধ্যে মাসিক ভ্যাপিং নেওয়ার হার আগের মতোই ৩ শতাংশে রয়েছে।
এর ফলে কয়েক বছর ধরে কানাডায় সিগারেটের বিক্রিও রয়েছে নি¤œমুখী। ২০১০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত কানাডায় মাসিক সিগারেট বিক্রির পরিমাণ ছিল ১৭০ থেকে ১৮০ কোটি শলাকা। ২০২০ সাল থেকে ২০২১ সালের এপ্রিলের মধ্যে এ সংখ্যা নেমে এসেছে ১৪০ থেকে ১৫০ কোটি শলাকায়।