
কানাডায় ভ্যাকসিনেশনের হার যখন ক্রমশই বাড়ছে ঠিক সেই সময় বিশ^ব্যাপী ভ্যাকসিন অসাম্যের দিকে আঙ্গুল তুলছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই সঙ্গে তারা কানাডাকে তার অতিরিক্ত ভ্যাকসিন অন্যদের সরবাহেরও আহ্বান জানাচ্ছেন।
ওয়ান কানাডার পরিচালক স্টুয়ার্ট হিকক্স বৃহস্পতিবার বলেন, ধনী দেশগুলোর মধ্যে অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে বেশি পরিমাণ ভ্যাকসিন কিনেছে কানাডা। এই পরিমাণ কানাডার নাগরিকদের পাঁচবার ভ্যাকসিনের আওতায় আনার জন্য যথেষ্ট। ভ্যাকসিন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ফেডারেল সরকার খুবই ভালো কাজ করেছে। কিন্তু সমস্যা হলো আমাদের কাছে এখন উদ্বৃত্ত ভ্যাকসিন রয়েছে। লাখ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন উদ্বৃত্ত রয়ে গেছে।
যেসব দেশের ভ্যাকসিন প্রাপ্যতা কম সেসব দেশকে উদ্বৃত্ব ভ্যাকসিন সরবরাহে কানাডাসহ অন্যান্য ধনী দেশগুলোর প্রতি যেসব ব্যক্তি ও সংগঠন আহ্বান জানিয়ে আসছেন হিকক্স ও ওয়ান তার মধ্যে অন্যতম। পাবলিক সার্ভিস ও প্রকিউরমেন্ট বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এরই মধ্যে কানাডা ৪০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিনের ক্রয়াদেশ দিয়েছে। এর মধ্যে ২ কোটি ৮১ লাখ ডোজের সরবরাহ পাওয়া গেছে। ২ কোটি ৫০ লাখ মানুষকে এরই মধ্যে ভ্যাকসিন দেওয়াও হয়েছে। প্রতি পাঁচজনের মধ্যে তিনজন প্রথম ডোজের ও ৬ দশমিক ৩ শতাংশকে উভয় ডোজের ভ্যাকসিন পেয়ে গেছেন। এ অবস্থায় অনেক বিশেষজ্ঞই ভ্যাকসিনেশনের নির্দিষ্ট একটি লক্ষ্য পূরণ হওয়ার পর এর চাহিদায় মন্দা আসতে বাধ্য বলে মনে করছেন। ইউনিভার্সিটি অব টরন্টোর ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সহযোগী অধ্যাপক ডিওনে এম. এলম্যান বলেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই ভ্যাকসিনের চাহিদা কমে যেতে বাধ্য। সেপ্টেম্বরের মধ্যেই দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন দেওয়া শেষ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরপর কানাডার দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে যথেষ্ট পরিমাণে ভ্যাকসিন থেকে যাবে।
যুক্তরাষ্ট্র বৃহস্পতিবার কানাডাসহ বেশ কয়েকটি দেশকে তাদের উদ্বৃত্ত ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা ঘোষণা করার পর বিষয়টি নিয়ে জোরেশোরে আলোচনা শুরু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র তাদের উদ্বৃত্ত ভ্যাকসিনের ৭৫ শতাংশ বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা ও গ্যাভি পরিচালিত কোভ্যাক্স ভ্যাকসিন কর্মসূচিতে দেওয়ার পরিকল্পনা ঠিক করেছে।