কানাডায় আন্তর্জাতিক ভ্রমণ চালুর বিষয়ে সুস্পষ্ট পরিকল্পনা দিতে ফেডারেল সরকার অস্বীকৃতি জানানোয় আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রীষ্মে হারানোর আশঙ্কা করছেন টরন্টোর পর্যটন খাতের ব্যবসায়ীরা। রিপ্লে’স অ্যাকুয়ারিয়াম, মারভিশ প্রোডাকশন্স, হিল্টন হোটেলস ও টরন্টো রিজিয়ন বোর্ড অব ট্রেডের প্রতিনিধিরা মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করে এই আশঙ্কা ব্যক্ত করেন। যেসব ব্যবসা পর্যটকদের ওপর নির্ভর করে টিকে থাকে সেগুলোর ওপর চলমান বিধিনিষেধের প্রভাব উল্লেখ করে উদ্বেগও প্রকাশ করেন তারা।
মারভিশ প্রোডাকশন্সের বিক্রয় ও বিপণন পরিচালক জন কারাতামাটিস সাংবাদিকদের বলেন, গ্রীষ্মে মারভিশের চারটি ডাউনটাউন থিয়েটারের দর্শকদের ৫০ শতাংশ থাকে মার্কিন পর্যটক। পর্যটকদের কাছ থেকে যে পরিমাণ রাজস্ব আসে তার ভিত্তিতে বলতে পারি, কানাডায় আন্তর্জাতিক ভ্রমণ শুরু না হওয়া পর্যন্ত মারভিশ তার কার্যক্রম শুরু করতে পারবে না।
অনাবশ্যক ভ্রমণকারীদের জন্য ২০২০ সালে মার্চ থেকে কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্ত বন্ধ রয়েছে। যদিও সাম্প্রতিক মাসগুলোতে কোভিড সংক্রমণ কমে আসায় বিধিনিষেধ শিথিল করার দাবিতে সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে। ফেডারেল সরকার বলেছে, উভয় ডোজের ভ্যাকসিন নেওয়া কোনো কানাডিয়ান দেশে প্রবেশ করলে তার ক্ষেত্রে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন প্রয়োজন হবে না। ৫ জুলাই থেকে এটি কার্যকর হওয়ার কথা বলা হলেও আন্তর্জাতিক যাত্রীদের ক্ষেত্রে এ ধরনের কোনো পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করা হয়নি। ২১ জুলাই সীমান্ত বন্ধের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আবারও এর মেয়াদ বাড়বে কিনা সে বিষয়েও কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ফেডারেল সরকার।
মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন হিল্টন ওয়ার্ল্ডওয়াইডের কানাডা, লাতিন আমেরিক ও আন্তর্জাতিক বিক্রয় বিভাগের নির্বাহী পরিচালক ভিটো কুরালি। তারা গুরুত্বপূর্ণ গ্রীষ্মের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন ঠিক সময় ফেডারে সরকার তাদের ব্যবসা পুরোপুরি অন্ধকারের মধ্যে রেখে দিয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন তিনি। তার বক্তব্য, কানাডার নাগরিক ও কোম্পানিগুলো অর্থনৈতিক কর্মকা- উন্মুক্তকরণের একটা সমন্বিত জাতীয় পরিকল্পনার দাবি রাখে। আন্তর্জাতিক ভ্রমণ শুরুর বিষয়টিও তার মধ্যে থাকা উচিত। অর্থনৈতিক কর্মকা- খুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে কানাডা অন্যান্য দেশের চেয়ে পিছিয়ে থাকতে পারে না। এখনই সংশোধনমূলক পদক্ষেপ না নিলে কানাডার শক্তিশালী পর্যটন খাতকে আরও একটি গ্রীষ্মের ভ্রমণ মৌসুম হারাতে হবে।