আগস্টে আসবাব, গ্যাসোলিন, খাদ্য ও গাড়ির দাম আগের বছরের একই মাসের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে। ফলে ভোক্তা মূল্যসূচক দুই দশকের মধ্যে সর্বোচ্চে পৌঁছেছে।
মূল্যবৃদ্ধির পেছনে অর্থনৈতিক বিধিনিষেধের পাশাপাশি সরবরাহ ব্যবস্থার মতো কিছু বিষয় জড়িত। যেমন গাড়ির দাম বাড়াতে ভূমিকা রেখেছে সেমিকন্ডাক্টরের সরবরাহ ঘাটতি। এর ফলে চলতি বছরের আগস্টে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় নতুন গাড়ির দাম বেড়েছে ৭ দশমিক ২ শতাংশ। ১৯৯৪ সালের পর এটাই সর্বোচ্চ দাম বৃদ্ধি।
আসবাবের দাম বাড়াতে ভূমিকা রেখেছে সরবরাহ সংকট ও কাঠের উচ্চ মূল্য। ফলে আগস্টে আসবাবের দাম বেড়েছে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮ দশমিক ৭ শতাংশ। এছাড়া গৃহস্থালী পণ্যের দামম বেড়েছে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ। কানাডিয়ানরা তাদের বাড়ি ক্রয়ে ব্যয় অব্যাহত রাখায় এমনটা হয়েছে।
নেটফ্লিক্স, স্পোটিফাইয়ের মতো অনলাইন স্ট্রিমিং সেবার মাশুলও গত বছরের আগস্টের তুলনায় ৫ দশমিক৮ শতাংশ বেড়েছে। আর ইন্টারনেটের দাম বেড়েছে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ।
সার্বিকভাবে আগস্টে ভোক্তা মূল্যসূচক আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪ দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে। জুলাইয়ে বৃদ্ধির হার ছিল যেখানে ৩ দশমিক ৭ শতাংশ। ২০০৩ সালের মে মাসের পর এটাই মূল্যস্ফীতির সর্বোচ্চ হার।
এদিকে আগস্টে গ্যাসোলিনের দাম বেড়েছে আগের বছরের একই মাসের তুলনায় ৩২ দশমিক ৪ শতাংশ। মহামারি-পূর্ব সময়ের তুলনায় কম উৎপাদন, হারিকেন ইডার ক্ষতি ও ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বেগের কারণে চাহিদা হ্রাস এর পেছনে ভূমিকা রেখেছে।
স্ট্যাটিস্টিকস কানাডার মতে, গত মাসে বার্ষিক মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৩ দশমিক ২ শতাংশ। গ্যাসোলিনের মূল্য বাদ দিয়ে এই হিসাব করা হয়েছে।
এর বাইরে বাড়ি মালিকদের বাড়ি পরিবর্তনের ব্যয় চলতি বছরের আগস্টে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৪ দশমিক ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯৮৭ সালের পর এটাই সর্বোচ্চ বার্ষিক বৃদ্ধি এবং এ নিয়ে টানা চতুর্থ মাস বৃদ্ধির হার দুই অংকের ঘরে রয়েছে।
চলতি বছরের আগস্টে কানাডায় মাংসের দাম বেড়েছে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬ দশমিক ৯ শতাংশ। ২০২০ সালের জুনের পর মাংসের দাম এতো বেশি পরিমাণে আর কোনো মাসেই বাড়েনি। রেস্তোরাঁয় খাবারের চাহিদা বৃদ্ধির কারণে মাংসের দাম এতো বেশি বেড়েছে বলে মনে করছে স্ট্যাটিস্টিকস কানাডা।
এদিকে ভ্রমণকারীদের থাকার খরচ চলতি বছরের আগস্টে এক বছর আগের একই সময়ের তুলনায় ১৯ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে। বিধিনিষেধ শিথিল করার কারণে ভ্রমণের চাহিদা বেড়ে যাওয়াই এর কারণ মূলত।