
কোভিড-১৯ এর চতুর্থ ঢেউয়ের সঙ্গে এখনও লড়াই করতে হচ্ছে কানাডাকে। এর মধ্যেই মহামারির পর প্রথম ফ্লু মৌসুমের দিকে এগোচ্ছে কানাডা। কানাডার প্রধান জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তেরেসা ট্যাম এ মন্তব্য করেছেন।
শুক্রবার তিনি বলেন, কোভিড-১৯ প্রতিরোধে গৃহীত কঠোর জনস্বাস্থ্যবিধির কারণে গত বছর দেশে কার্যত ফ্লুর অস্তিত্ব ছিল না।
গত হেমন্তে ফ্লুর ক্ষেত্রে এটা আশীর্বাদ হয়ে দেখা দিলেও আদতে তা সাধারণ ফ্লু ভাইরাসের ধরনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ের দিয়েছে। পাবলিক হেলথ এজেন্সি অব কানাডার উপাত্ত বলছে, আরএসভি ও প্যারাইনফ্লুয়েঞ্জার মতো সাধারণ কিছু মৌসুমি ভাইরাসের সংক্রমণের হার ধারণার চেয়েও বেশি।
ডা. তেরেসা ট্যাম বলেন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার দুর্বলতার কারণে এ বছর ফ্লুর পুনরুজ্জীবন হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মহামারিমুক্ত সময়েও ফ্লু মৌসুম হাসপাতালগুলোর ওপর বড় ধরনের চাপ তৈরি করে। জরুরি কক্ষ ও ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটগুলো রোগীতে ভরে ওঠে। দেড় বছর ধরে মহামারি সামলাতে গিয়ে অনেক হাসপাতালের ধারণক্ষমতাই ফুরিয়ে এসেছে। ফ্লু মৌসুম এসব হাসপাতালের অবস্থা আরও খারাপ করে তুলতে পারে।
অবশ্যই ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রকোপের বছর হবে না এটি। এমনটাই মনে করেন ডা. তেরেসা ট্যাম। এ কারণেই নিউমোনিয়ার জটিলতা এড়াতে ও হাসপাতাল ব্যবস্থার সক্ষমতা ধরে রাখতে আগের যেকোনো বছরের চেয়ে এ বছর ফ্লু শট নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ বলে বলছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
ফ্লু ভ্যাকসিন নিয়ে ন্যাশনাল অ্যাডভাইজরি কমিটি অন ইমিউনাইজেশন ৭ অক্টোবর তাদের সুপারিশ প্রদান করেছে। সুপারিশে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের আগে ও পরে অথবা একই সময়ে ফ্লু ভ্যাকসিন নিতে সমস্যা নেই। তাই ফ্লু ভ্যাকসিন বন্ধ রাখার কোনো কারণ থাকতে পারে না।
তবে ফ্লু মৌসুম কতটা ভয়াবহ হবে সে সম্পর্কে বলার সময় এখনও আসেনি। তবে শিশু হাসপাতালগুলো এরই মধ্যে এর প্রভাব আঁচ করতে পারছে।