কোভিড-১৯ পরীক্ষার নতুন বিধিবিধানের ধাক্কা লেগেছে উড়োজাহাজ পরিবহন শিল্পে। পরিচালন কার্যক্রম ছোট করে আনার পাশাপাশি এবার ১ হাজার ৭০০ কর্মীকে ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছে এয়ার কানাডা।
কোম্পানিটির পক্ষ থেকে বুধবার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের প্রথম প্রান্তিকে তাদের সেবা কার্যক্রম ২৫ শতাংশ হ্রাস পাবে। এর ফলে এয়ার কানাডার এক্সপ্রেস ক্যারিয়ার বিভাগ থেকেও ২০০ কর্মীকে বিদায় নিতে হবে।
এয়ার কানাডার এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চিফ কমার্শিয়াল অফিসার লুসি গিলেমেত্তে এক বিবৃতিতে বলেন, এই কঠিন সিদ্ধান্তের প্রভাব আমাদের কর্মীদের ওপর পড়ায় আমরা অনুতপ্ত। কারণ মহামারির মধ্যেও তারা আমাদের যাত্রীদের দেখভাল করেছেন, ক্ষতিগ্রস্ত কমিউনিটির পাশে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক সরকারের ভ্রমণ সংক্রান্ত কঠোর বিধিনিষেধ কোম্পানির আয়ে প্রভাব ফেলছে।
প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানি ওয়েস্টজেট এক হাজার কর্মীকে বাড়িতে পাঠানোর ঘোষণা দেওয়ার পাঁচ দিন পর এয়ার কানাডা এ ঘোষণা দিল। তবে অটোয়ার পক্ষ থেকে এভিয়েশন শিল্পের জন্য একটি সহায়তা পরিকল্পনা করা হলে হয়তো ছাঁটাইয়ের পরিমাণ কমানো যেতো বলে মনে করে ইউনিফর।
ইউনিফরের প্রেসিডেন্্ট জেরি ডায়াস এ প্রসঙ্গে বলেন, পরিবহনমন্ত্রী ওমর আলগাবরার এই মূহূর্তে প্রধান অগ্রাধিকার হওয়া উচিত এয়ারলাইন কর্মীদের সহায়তা করা। শিল্পটির সহায়তায় কেন্দ্রীয় সরকারের গড়িমসির কারণে এয়ারলাইন কর্মীদের যে হতাশা, এয়ার কানাডার এ ঘোষণা তা আরও বাড়িয়ে দেবে।
এ সপ্তাহেই কানাডার পরিবহনমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন ওমর আলগাবরা। মার্ক গারনোর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন তিনি। মার্ক গারনো পেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব।
এয়ার কানাডা বলছে, কর্মী ছাঁটাই ও পরিচালন কার্যক্রম সীমিত করে আনার ফলে ২০২১ সালের প্রথম প্রান্তিকে তাদের সক্ষমতা ২০১৯ সালের একই প্রান্তিকের ২০ শতাংশে এসে দাঁড়াবে। আটলান্টিক কানাডা অঞ্চলের অতিরিক্ত রুটের কার্যক্রম বন্ধ করার কথা এ সপ্তাহেই অঞ্চলটির বিমান বন্দরগুলোকে জানিয়ে দিয়েছে তারা। গ্যান্ডার, এন.এল, গুজ বে ও ফ্রেডেরিক্টনে এরয়ার কানাডার সব ফ্লাইট ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। পাশাপাশি ইয়েলোনাইফ, এন.ডব্লিউ.টিতে ফ্লাইটও ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত থাকবে।
এদিকে এয়ারলাইন্সগুলো অধিক সংখ্যায় আঞ্চলিক রুট বন্ধ করায় সরকার হতাশ বলে জানিয়েছেন পরিবহনমন্ত্রীর মুখপাত্র।