গ্রেটার টরন্টো এরিয়ার বাসিন্দাদের বাড়ি ক্রয়ের সামর্থ্য আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেড়েছে। এর ফলে বছর শেষে বাড়ির গড় বিক্রয় মূল্য প্রথমবারের মতো এক মিলিয়ন (১০ লাখ) ডলারে স্পর্শ করতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে টরন্টো রিজিয়নাল রিয়েল এস্টেট বোর্ড।
সোমবারের ওই পূর্বাভাসে রিয়েল এস্টেট বোর্ড বলেছে, ২০২১ সালের শেষ দিকে এসে এ এলাকায় বাড়ির গড় বিক্রয় মূল্য ১০ লাখ ২৫ হাজার ডলারে পৌঁছে যেতে পারে। ২০২০ সালে টরন্টোতে বাড়ির গড় বিক্রয় মূল্য ছিল যেখানে ৯ লাখ ২৯ হাজার ৬৯২ ডলার।
টরন্টো রিয়েল এস্টেট বোর্ডের প্রধান বাজার বিশ্লেষক জেসন মার্সার সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমরা সেই জায়গায় ফিরে এসেছি, বহু বছর ধরেই যেটা আমরা বলে আসছি। বাড়ির যে চাহিদা তৈরি হয়েছে, বিক্রয় উপযোগী বাড়ি তালিকাভূক্ত হচ্ছে তার চেয়ে কম। চাহিদার বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়ার পাশাপাশি বাজারে নতুন বাড়ির যে জোগান তাতে চাহিদা ঘাটতি অব্যাহত থাকছে।
মার্সার এমন এক সময় এ মন্তব্য করলেন যখন বাড়ি ক্রয় অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে। এরই মধ্যে গ্রেটার টরন্টো এরিয়ায় বাড়ি বিক্রি ৫২ শতাংশ বেড়েছে। গড় বিক্রয় মূল্যও ১০ লাখ ডলারের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।
বাড়ি ক্রয় বাড়াতে ভূমিকা রাখছে এ বছরের অন্যরকম শীত। কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণের কৌশল হিসেবে নাগরিকদের ছুটি কাটাতে বাইরে যাওয়ায় নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে এবার তুষারও ষেভাবে পড়েনি। কম রয়েছে ঋণের সুদের হারও। সামাজিক সম্পৃক্ততা কমিয়ে ফেলায় নাগরিকদের ঋণ সক্ষমতা বেড়েছে। পাশাপাশি নতুন বাড়ি খোঁজার জন্য যথেষ্ট সময়ও পাচ্ছেন তারা।
বিগ সিটি রিয়েল্টি ইনকরপোরেশনের ব্রোকার ভি এনজো বলেন, টরন্টোর বাইরে হুইটবিতে সোমবার একটি বাড়ি বিক্রির বিজ্ঞপ্তি দেন একজন রিয়েলটর। দুপুরের মধ্যেই ২৯টি দরপত্র জমা পড়ে। জানুয়ারি থেকেই আবাসন বাজারে এ তেজিভাব বিরাজ করছে। কোভিড-১৯ মহামারিও যদি আবাসন বাজারের তেজিভাব থামাতে না পারে তাহলে আর কে পারবে?
টরন্টো রিয়েল এস্টেট বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারিতে বাড়ি বিক্রি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৯২৮টিতে। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে যেখানে বিক্রি হয়েছিল ৪ হাজার ৫৪৬টি বাড়ি। গড় বিক্রয় মূল্যও ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ৬৭ হাজার ৮৮৫ ডলারে। ২০২০ সালে যেখানে বাড়ির গড় বিক্রয় মূল্য ছিল ৮ লাখ ৩৮ হাজার ৮৭ ডলার। বিক্রির জন্য তালিকাভূক্ত বাড়ির সংখ্যাও গত বছরের চেয়ে ২০ শতাংশ বেড়ে ৯ হাজার ৪৩০টিতে দাঁড়িয়েছে। গত বছর বিক্রির জন্য তালিকাভূক্ত হয়েছিল ৭ হাজার ৮৪৮টি বাড়ি।