এ বছরের শেষ দিকে নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী আলোচনা পুরোদমে চলছে। এ অবস্থায় সীমান্তের উত্তরে ফেডারেল লিবারেলরা কানাডিয়ান কনজার্ভেটিভদের ট্রাম্প রিপাবলিকানের সঙ্গে তুলনা করছেন জোরেশোরে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ শ্লোগানের বিষয়টি উল্লেখ করে লিবারেলরা বলছেন, কনজার্ভেটিভ এমপিরা ‘মাগা’ কৌশল ব্যবহার করছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট আবারও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার চেষ্টায় থাকায় তারা এটা ফিরিয়ে আনছেন।
সীমান্তের দক্ষিণের এই তুলনা লিবারেল কৌশলপত্রের একটি ধ্রুপদী পৃষ্ঠা। কনজার্ভেটিভ রাজনীতিকদের প্রাদেশিক ও ক্রেন্দীয়ভাবে এই কৌশল সামনে আনতে দেখা গেছে।
খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধি আবাসন স্বল্পতার কারণে বিশ^ব্যাপী লোকজনের মধ্যে উদ্বেগ ও হতাশা বাড়ছে। কনজার্ভেটিভরা ট্রাম্পের প্লেবুক ব্যবহার করে একে কাজে লাগাচ্ছে। এমনটাই বলেছেন লিবারেল পার্টির ন্যাশনাল ক্যাম্পেইনের কো-চেয়ার।
ট্রুডোর মন্ত্রিসভায় পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনকারী কুইবেকের লিবারেল এমপি সোরাইয়া মার্টিনেজ ফেরাডা বলেন, এমন সব কৌশল ব্যবহার করা হচ্ছে যেখানে আপনি আবেগগুলোকে এমনভাবে মেরুকরণ করতে চাইছেন, যা জনগণের মধ্যে ভয় ঢুকিয়ে দিচ্ছে। এভাবেই আপনি রাজনীতিকে চালিত করতে চাইছেন এবং কানাডাতেও নতুন হিসেবে আমরা এটা দেখতে পাচ্ছি। এটা কেবল আমেরিকা থেকে আসছে না। অন্য দেশেও আমরা এটা দেখতে পাচ্ছি এবং সেটাই এই মুহূর্তের পার্থক্য।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে অতি ডানপন্থী পপুলিস্ট পার্টিগুলোর আমরা উত্থান দেখতে পাচ্ছি। নভেম্বরে আর্জেন্টিনা অতি ডানপন্থী একজন বহিরাগতকের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেছে। গত সপ্তাহে ট্রাম্প আইওয়া ককাসে জয় পেয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হওয়ার রাস্তা তৈরি করছেন।
প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো কয়েক মাস ধরে জনপ্রিয়তায় পিছিয়ে রয়েছেন। ট্রাম্পের প্রচারণার ব্র্যান্ড ধার করে পয়লিয়েভর যে আইডিয়া দাঁড় করিয়েছেন তার কাছে ককাস সদস্যদের মতো তিনিও মার খাচ্ছেন।