কনকনে ঠান্ডার মধ্যে সন্তানের গ্রেড ২ শ্রেণিকক্ষের হিটার কাজ না করার বিষয়টি বিলম্বে জানতে পেরেছেন টরন্টোর এক মা। সঙ্গে সঙ্গেই বিষয়টি কেন তাকে অবহিত করা হলো না তা জানতে চেয়েছেন তিনি।
কেটি কারম্যান নামে ওই মা বলেন, সেন্ট টিমোথি ক্যাথলিক এলিমেন্টারি স্কুলের কিছু হিটার ১৫ জানুয়ারি কাজ করা বন্ধ করে দেয়। এর ফলে তার ছেলের শ্রেণিকক্ষে তাপমাত্রা অস্বাভাবিক নিচে নেমে যায়।
কিন্তু ওই সময় বিষয়টি কারম্যানকে অবহিত করা হয়নি। স্কুল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানিয়ে বাবা-মায়েদের কাছে চিঠি পাঠায় ১৭ জানুয়ারি রাতে।
কারম্যান বলেন, বিদ্যালয়টিতে আমি স্বেচ্ছাসেবীর কাজ করছিলাম। আমার ছেলের শ্রেণিকক্ষে নাচের অনুষ্ঠান ছিল এবং তিনি ছিলেন বিশেষ অতিথি। সে কথা বলতে পারছিল না। তাকে সহায়তা করার মতো কেউ না থাকায় আমি তার সাহায্যে এগিয়ে যাই। সেখানে ঠান্ডায় জমে যাওয়ার মতো তাপমাত্রা ছিল। হিটার নষ্ট ১৫ জানুয়ারি থেকে সেটা বলার কোনো সুযোগ আমাদের দেওয়া হয়নি এবং বিষয়টি নিয়ে আমি খুবই হতাশ। কবে নাগাদ এটি ঠিক হবে তাও আমরা জানি না।
কারম্যান বলেন, ১৭ জানুয়ারি তিনি যখন তার সন্তানের শ্রেণিকক্ষে যান তখন সেখানে একটা অস্থায়ী হিটার ছিল। কিন্তু থার্মোমিটারে সে সময় তাপমাত্রা দেখাচ্ছিল ১৬ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। অকুপেশনাল হেলথ অ্যান্ড সেফটি অ্যাক্টের আওতায় এটা কাজ করার উপযোগী তাপমাত্রার চেয়ে ২ ডিগ্রি নিচে। হিটার থাকা সত্ত্বেও তাপমাত্রার এই অবস্থা ছিল। সোয়েটার ও কোট এবং হ্যাট পরার প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি অবশ্যই অস্বস্তির।
আরেকজন অভিভাবক কারম্যানকে বলেন, তার সন্তান নিজেকে গরম রাখতে হাত দিয়ে কান ঢেকে রেখেছিল।
কারম্যান বলেন, ১৭ জানুয়ারি সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত বিষয়টি বাবা-মায়েদের জানিয়ে ইমেইল করা হয়নি। যদিও ঘটনাটি ছিল বেশ কয়েকদিন আগের।
বাবা-মায়েদের কাছে পাঠানো এক ইমেইলে স্কুলের অধ্যক্ষ বলেন, স্কুলের কিছু অংশ পর্যাপ্ত গরম পায়নি। কারিগরি ত্রুটির কারণে স্কুলেণ হিটিং সিস্টেম পূর্ণাঙ্গভাবে কাজ করছিল না।