কানাডার সবচেয়ে বৈচিত্রপূর্ণ নেবারহুডগুলোর অন্যতম স্কাইভিউ র্যাঞ্চ। কোভিড-১৯ মহামারির প্রথম মাসে কানাডা ইমার্জেন্সি রেসপন্স বেনিফিট (সিইআরবি) চালু হলে এখানকার ১৫ বছরের বেশি বয়সী প্রতি দশজনের সাতজনই সহায়তাটি পেয়েছিলেন। কানাডার ১ হাজার ৬০০ নেবারহুডের মধ্যেই সহায়তাপ্রাপ্ত মানুষের হার এটাই সর্বোচ্চ। তাছাড়া সুবিধাপ্রাপ্তিতে গ্রামের তুলনায় শহরের বাসিন্দারা এগিয়ে আছেন। তথ্য অধিকার আইনে প্রাপ্ত উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এমনটা জানিয়েছে দ্য কানাডিয়ান প্রেস।
‘ফরওয়ার্ড সর্টেশন এরিয়া’ নামে পরিচিত পোস্টাল কোডের প্রথম তিনটি অক্ষর বিশ্লেষণ করে কোন সময়, কোথায়, কতজন কানাডিয়ান সিইআরবির আওতায় সহায়তা পেয়েছে সেটি নির্ধারণের চেষ্টা করেছে দ্য কানাডিয়ান প্রেস। প্রত্যেক ফরওয়ার্ড সর্টেশন এরিয়ার ১৫ বছরের বেশি বয়সীদের কত শতাংশ মানুষ সিইআরবি সুবিধা গ্রহণ করেছেন তা নির্ধারণে ব্যবহার করা হয়েছে ২০১৬ সালের আদমশুমারির তথ্য। তবে ২০১৬ সালের আদমশুমারির পর সংগৃহীত এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্টের উপাত্ত এতে অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি।
গত বছর মার্চের শেষ দিক থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সিইআরবির আওতায় ৮৯ লাখ কানাডিয়ানকে প্রায় ৮ হাজার ২০০ কোটি ডলার সহায়তা দেওয়া হয়েছে। কর্মঘণ্টা হ্রাস পাওয়ায় বা কর্ম হারানোর কারণে যাদের আয় কমে যায় তাদেরকে এ অর্থ দেওয়া হয়েছে।
অনাবশ্যক ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার কারণে মার্চ ও এপ্রিলে ৩০ লাখ কানাডিয়ান কাজ হারান। এছাড়া ২৫ লাখ মানুষ স্বাভাবিক কর্মঘণ্টার অর্ধেক সময় পর্যন্ত কাজের সুযোগ পান।
এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট কানাডার উপাত্ত বলছে, চালুর প্রথম চার সপ্তাহের মধ্যে ৬৫ লাখ কানাডিয়ান সপ্তাহে ৫০০ ডলার করে সিইআরবি সহায়তা পেয়েছেন। অর্থাৎ ১৫ বছর বয়সী প্রতি পাঁচজনের একজন সুবিধাটি প্রাপ্ত হয়েছেন।
তবে শহর ও গ্রামভেদে প্রাপ্যতায় তারতম্য আছে। গ্রামের তুলনায় শহরের বাসিন্দাদেরই সিইআরবির ওপর বেশি নির্ভর করতে হয়েছে। অন্টারিওর ব্র্যাম্পটন ও টরন্টোর উত্তরপশ্চিমাংশের বাসিন্দারা সুবিধাটি সবচেয়ে বেশি নিয়েছেন। পাশাপাশি শহরের যেসব অঞ্চলে সংক্রমণ বেশি সেখানকার বেশি সংখ্যক সিইআরবির সুবিধা পেয়েছেন। উদাহরণ হিসেবে ক্যালগেরির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কথা এক্ষেত্রে উল্লেখ করা যেতে পারে।