গত মাসে কানাডার মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছিল বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। তবে মূল্যচাপ সহনীয় হয়ে আসায় এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তারা।
স্ট্যাটিস্টিকস কানাডার ডিসেম্বর মাসের ভোক্তা মূল্যসূচক প্রতিবেদন প্রকাশ করার কথা ১৬ জানুয়ারি। তাতে ২০২৩ সালে সার্বিক মূল্যস্ফীতির একটা চিত্র থাকবে।
পূর্বাভাসদাতারা মনে করছেন, ডিসেম্বরের মূল্যস্ফীতি নভেম্বরের ৩ দশমিক ১ শতাংশের চেয়ে বেশি থাকবে। কারণ, গ্যাসোলিনের দাম গত মাসে যতটা না কমেছে এক বছর আগের একই সময়ে কমেছিল তার চেয়ে বেশি।
সিআইবিসির পূর্বাভাস অনুযায়ী, ডিসেম্বরে কানাডায় মূল্যস্ফীতি ছিল ৩ দশমিক ৪ শতাংশ। সিআইবিসির অর্থনীতি বিষয়ক নির্বাহী পরিচালক অ্যান্ড্রু গ্রাহাম বলেন, গ্যাসোলিনের দামের ভিত্তির প্রভাবের কারণেই এমনটা হয়েছে। আশা করা যায়, মূল্যস্ফীতি কমাতে সামনের দিনে আমরা কিছু মূল পদক্ষেপ দেখব। ব্যাংক অব কানাডা এদিকে ঘনিষ্ঠ নজর রাখছে।
যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম বিভাগের এ সপ্তাহে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, সীমান্তের দক্ষিণে গত মাসে মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৪ শতাংশে। নভেম্বরে এ হার ছিল ৩ দশমিক ১ শতাংশ। ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির কারণ মূলত উচ্চ আবাসন ব্যয়। সেই সঙ্গে জ্বালানি ও খাদ্যের উচ্চ মূল্য।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, গত মাসে বার্ষিক মূল্যস্ফীতি বাড়লেও তার অর্থ এই নয় যে, মূল্য বৃদ্ধি ভুল পথে রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে হেডলাইন মূল্যস্ফীতির হার কমলেও ডিসেম্বরে কোর মূল্য বেড়েছে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ। ২০২১ সালের মে মাসের পর এটা সবচেয়ে কম বৃদ্ধি।
গত কয়েক মাসে মূল্যস্ফীতি কীভাবে পরিবর্তিত হয়েছে সেদিকেও মনোযোগ দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এক বছর আগের তুলনায় মূল্যে কী পরিবর্তন হয়েছে কেবল সেদিকে নজর দিচ্ছে না ব্যাংক অব কানাডা।
টিডির অর্থনীতি বিষয়ক পরিচালক জেমস অরল্যান্ডো বলেন, তার ধারণা ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি ৩ দশমিক ৩ শতাংশ ছিল।