মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় কঠিন পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয় কানাডার স্বাস্থ্যকর্মীদের। তখন থেকেই নার্সিংকে পেশা হিসেবে বেছে নেওয়ার ইচ্ছাটা তৈরি হয় স্যাং হি বায়েককে। গত ফলে ভর্তি হন ইউনির্ভাসিটি অব টরন্টোর নার্সিং স্কুলে।
ওই সময়টাতে কিছু হাসপাতাল রোগীতে ভরে উঠছিল ও মৃত্যের সংখ্যা বাড়ছিল। ভ্যাকসিন নিয়েও অতোটা আশাবাদী হওয়ার মতো কিছু ছিল না। কোভিড-১৯ রোগীদের নিয়ে কাজ করা চিকিৎসক, নার্স ও রেসপিরেটরি থেরাপিস্টদের মধ্যেও শারীরিক ও মানসিক অবসাদ ভর করছিল।
আমি কিছুটা উদ্বিগ্নই হয়ে পড়েছিলাম, সেই সময়ের কথা মনে করতে গিয়ে বলছিলেন ৩০ বছর বয়সী বায়েক। নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করেন, সিদ্ধান্তটা কী সঠিক সময়ে নিলাম? অথবা বেশি কিছু না জেনে শুধু আগ্রহের বশে পেশাটাকে বেছে নিলাম নাতো?
মহামারি শেষ পর্যন্ত নার্সিংয়ের প্রতি বায়েকের আগ্রহকে আরও এগিয়ে দেয়। কারণ, কোভিড সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকা অত্যাবশ্যকীয় কর্মীদের কতটা বোঝা বহন করতে হচ্ছে সেটা তিনি ভালোমতোই উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন। বায়েক বলেন, এটাকে মিশন হিসেবে নিতে চাইলে নার্সিং শিক্ষার্থী বা মেডিকেল শিক্ষার্থী ও এ খাতে বাজ করতে আগ্রহী যে কারো জন্যই এটা একটি সুযোগ।
বায়েকের এ ভাবনা কানাডাজুড়ে আরও অনেকের মধ্যেই তৈরি হয়েছে। কারণ, নার্সিং স্কুলগুলোতে আবেদনের সংখ্যা বেড়েছে। যদিও স্থান সঙ্কটে এদের অধিকাংশকেই গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।
ইউনির্ভাসিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার স্কুল অব নার্সিংয়ের পরিচালক এলিজাবেথ সায়িক বলেন, গত বছর আবেদনকারীদের অনেকেই বলেছিলেন মহামারিই এ পেশা বেছে নেওয়ার চ্যালেঞ্জ গ্রহণে তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করেছে। কারণ, এ পেশায় এলে তারা অনেকের জীবন বাঁচাতে পারবেন। ন্যায্যতার অভাবে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী কীভাবে ভুক্তভোগী হচ্ছেন সেটাও তাদের এ পেশার প্রতি আগ্রহ করেছে।
তিনি বলেন, আগের বছরগুলোতে আমরা সাধারণত ৫০০ থেকে ৬০০ আবেদন পেতাম। এ বছর সংখ্যাটা ৮৬০-এ পৌঁছে গেছে। আমাদের নার্স প্র্যাকটিশনার ও নার্সিংয়ে মাস্টার্স অব সায়েন্স প্রোগ্রামে আবেদনকারী ৫০ শতাংশ বেড়ে গেছে। এমনকি পিএইচডি প্রোগামেও এ বছর আবেদনকারীর সংখ্যা বেড়েছে।