মোট কর্মীবাহিনীর এক-তৃতীয়াংশ বা ৫৪৭ জনকে ছাঁটাইয়ের কথা জানিয়েছে টিভিএ গ্রুপ। শ্রোতা ও বিজ্ঞাপন বাবদ রাজস্ব কমিয়ে যাওয়া সামাল দিতে পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নিচ্ছে কোম্পানিটি।
মন্ট্রিয়লভিত্তিক ব্রডকাস্টার প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ইন-হাউস বিনোদনমূলক কনটেন্ট তৈরি বন্ধের পাশাপাশি রিয়েল এস্টেট অ্যাসেটের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে। ডাউনটাউন ইস্টে তাদের সদরদপ্তরগুলোর ভবিষ্যৎ ব্যবহারের বিষয়টিও বিবেচনা করা হচ্ছে।
টিভিএর মালিক প্রতিষ্ঠান কুইবেকোর ইনকর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পিয়েরে কার্ল পেলাডো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, অঙ্গপ্রতিষ্ঠানের ঘাটতি দীর্ঘস্থায়ী হওয়া উচিত নয়। কোম্পানি এর কার্যক্রম পুনর্গঠনের কথা ভাবছে। সেই সঙ্গে খরচ কমিয়ে আনার পাশাপাশি মূল কুইবেক কনটেন্ট সরবরাহের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে।
কোম্পানি তাদের এই আর্থিক চাপের জন্য স্ট্রিমিং সেবার বাড়-বাড়ন্তকে দায়ী করেছে। সেই সঙ্গে লিগ্যাসি মিডিয়া থেকে বিজ্ঞাপন ব্যয় ওয়েব জায়ান্টদের কাছে চলে যাওয়াকেও এর কারণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
পেলাডো বলেন, জরুরি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে টিভিএ গ্রুপ এক দশক ধরেই সরকারি সংস্থা ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোকে বলে আসছে। কানাডার বেসরকারি মিডিয়া কোম্পানিগুলোকে অবশ্যই আধুনিক ইকোসিস্টেমে চলার সামর্থ্য অর্জন করতে হবে, যার মাধ্যমে তারা সীমান্তহীন ডিজিটাল বিশে^র সঙ্গে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিতে পারবে।
আর্থিক অবস্থায় উন্নতি আনার জন্য কোম্পানিটি যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো সিবিসি/রেডিও-কানাডা প্ল্যাটফরম থেকে সব বিজ্ঞাপন সরিয়ে নেওয়ার পক্ষে আওয়াজ তোলা। সেই সঙ্গে পাবলিক ব্রডকাস্টার হিসেবে এর ভূমিকা যাতে সঠিকভাবে পালন করে সেই দাবি তোলা।
অন্যান্য পদক্ষেপের মধ্যে আছে ফেব্রুয়ারিতে ১৪০টি পেশাদার ও ব্যবস্থাপকের চাকরি বাতিল করা, নতুন প্রযুক্তির বাস্তবায়ন এবং কিছু প্রোগাম বাদ দেওয়া।
কুইবেকে গত জুলাইয়ে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম থেকে এর সব অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায় ইউনিটের বিজ্ঞাপন প্রত্যহার করে নেওয়ার ঘোষণা দেয়। কানাডিয়ান সাংবাদিকদের কনটেন্ট তাদের প্ল্যাটফরমে নিষিদ্ধ করার প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই পদক্ষেপ নেয় তারা। টেক জায়ান্টগুলো এই সিদ্ধান্ত নেয় অনলাইন নিউজ অ্যাক্টের প্রতিক্রিয়া হিসেবে। আইনে মেটার মতো টেক জায়ান্টগুলোর কাছে সংবাদ মিডিয়াগুলোর জন্য তাদের কনটেন্টের জন্য অর্থ চাওয়া হয়েছে।