কানাডিয়ান সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স সার্ভিসের (সিএসআইএস) প্রধান গোয়েন্দা সংস্থাটির সংবেদনশীল তথ্য নিয়ে কর্মকা-ে তাদের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন। গোপন নথি ফাঁসের পর কর্মীদের পাশে থাকার এই ঘোষণা দেন তিনি।
কর্মীদের উদ্দেশে গত ২৪ ফেব্রুয়ারির বার্তায় সিএসআইএসের পরিচাক ডেভিড ভিনল্ট কর্মীদের নিরবচ্ছিন্ন ত্যাগ ও আইনের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার ব্যাপারে তার আস্থা ব্যক্ত করেন। সংবাদ মাধ্যম বিদেশি হস্তক্ষেপ সংক্রান্ত গোপন গোয়েন্দা নথির বরাত দিয়ে খবর প্রকাশ করার পর কর্মীদের উদ্দেশে এই বার্তা দেন তিনি।
তথ্য অধিকার আইনে কানাডিয়ান প্রেসের হাতে আসা মেমোতে ভিনল্ট বলেন, তথ্যের ফাঁসের এই উৎস কানাডা সরকারের জন্য বিবৃতকর। এবং অবশ্যই আমাদের অর্থাৎ সিএসআইএসের জন্য। গোপন তথ্য সংগ্রহ ও বিনিময়ের ক্ষমতা সিএসআইএস আইনের মাধ্যমে আমাদের দেওয়া হয়েছে। এসব তথ্যের নিরাপত্তাকে ঘিরে আইনি বাধ্যবাধকতা মেনে চলতে পদক্ষেপের প্রতি আমাদের অবশ্যই পূর্ণ আস্থা রাখতে হবে। যাতে করে আমাদের কৌশল, উৎস ও কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত হয়।
গ্লোব অ্যান্ড মেইল পত্রিকায় খবর প্রকাশের এক সপ্তাহের মাথায় মেমোটি সামনে আসে। গোপন সিএসআইএস নথিপত্রের বরাদ দিয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২১ সালে সংখ্যালঘিষ্ট লিবারেল সরকার গঠনে সহায়তার জন্য কাজ করে। সেই সঙ্গে বেইজিংয়ের প্রতি বন্ধুভাবাপন্ন নন যেসব কনজার্ভেটিভ প্রার্থী তাদের পরাজয়েও ভূমিকা রাখে দেশটি।
বিদেশি হস্তক্ষেপের বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য ফেডারেল সরকার গত মার্চে স্পেশাল র্যাপোর্টার নিয়োগ দেয়। একই মাসে এক জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তার খোলা চিঠি প্রকাশ করে গ্লোব অ্যান্ড মেইল। চিঠিতে নাম প্রকাশ না করা ওই কর্মকর্তা লেখেন, বিদেশি হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তারা কার্যকর পদক্ষেপ নিতেদ ব্যর্থ হওয়ার কারণেই তিনি গণমাধ্যমের দ্বারস্থ হয়েছেন।