গত ৫ নভেম্বর টরন্টোতে শ্রদ্ধা ও গভীর ভালবাসায় প্রিয়জনেরা স্মরণ করেন আকাশের ঠিকানায় চলে যাওয়া বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি আসাদ চৌধুরীকে। স্থানীয় সেইন্ট প্যাট্রিক ক্যাথলিক সেকেন্ডারি স্কুলের মিলনায়তনে আয়োজিত নাগরিক স্মরণসভা যুগ্ম সমন্বয়ক আহমেদ হোসেন ও দেলওয়ার এলাহীর স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হয়। ফারহানা পল্লবের সঞ্চালনায় এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে প্রয়াত কবিকে শ্রদ্ধা জানানোর পর বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ ও প্রার্থনা করে প্রয়াত কবির আত্মার শান্তি কামনা করা হয়। পবিত্র গীতা থেকে শ্যামল ভট্টাচার্য, পবিত্র ত্রিপিটক থেকে অপূর্ব বড়ুয়া, পবিত্র বাইবেল থেকে মৌ হৈমন্তী কোরাইয়া এবং আল কোরান থেকে পাঠ ও প্রার্থনা করেন শমসের আলী হেলাল।
সূচনাসঙ্গীত পরিবেশন করেন তপন সাইয়েদ, শহীদ খোন্দকার টুকু, নাহিদ কবির কাকলি, মমতাজ মমতা, ফারহানা শান্তা, মৈত্রেয়ী দেবী, শিখা আখতারী আহমাদ ও শফিক আহমেদ। সূচনা সঙ্গীতের পর কবি আসাদ চৌধুরীর দুটি কবিতায় সুরারোপিত গানে অংশগ্রহণ করেন সৈয়দা রোকসানা বেগম, সঙ্গীতা মুখার্জি, সুমি বর্মণ, ইলোরা বড়ুয়া, বিন্দু চৌধুরী, অনুশ্রী বড়ুয়া, মুনিরা সুলতানা মিলি, সুমন সাইয়েদ, সুমন মালিক, অরুনা হায়দার, ফরিদা হক, শাহীন মাহবুবুর রহমান, জুলফিয়া আহমেদ ইন্টু, মৈত্রেয়ী দেবী, ইভা নাগ, শ্যামল মাহমুদ, আশরাফুল বারী মঞ্জু, রিফাত নূর শান্তা, মমতাজ মমতা, ফারহানা শান্তা, গৌরি দাস, সাবরিনা সাবরিনা, অর্চনা সাহা, ঝুম্পা চক্রবর্তী, অনন্ত নির্ঝর, তানজীর আলম রাজীব , জাহিদ হোসেন, ফারহানা খান টিনা, শিরিন চৌধুরী, সোহানা আমিন, ফিয়োনা সেরীন, বিদিতা ও নুজহাত। পরিচালনায় ছিলেন তানজীর আলম রাজীব ও ফারহানা শান্তা। যন্ত্রবাদনে ছিলেন জাহিদ হোসেন, তানজীর আলম রাজীব ও রনি পালমার।
আবৃত্তি পর্বে আসাদ চৌধুরীর জনপ্রিয় কবিতা ‘নদীর জলে আগুন ছিল’ আবৃত্তি করেন বাচনিক-এর সদস্যরা। আবৃত্তির সঙ্গে দলগতভাবে নৃত্যে অংশ নেন সুলতানা হায়দার, অরুনা হায়দার, বিপ্লব কর ও তাপস দেব। একক আবৃত্তি পর্বে ছিলেন ফারহানা আহমেদ, জ্যাকুলিন ডি রোজারিও, আসমা হক, অনুরাগ আহমেদ, ফ্লোরা নাসরিন ইভা, এলিনা মিতা, সুমন মালিক, মুনিরা সুলতানা মিলি, নাজমা কাজী, আনিসা রশীদ লাকি, রাশেদা মুনীর, শেখর গোমেজ, মেরী রাশেদীন, মেহরাব রহমান ও লিজা গালীব। এ পর্বটি সঞ্চালনা করেন ফ্লোরা শূচি ডি রোজারিও। আসাদ চৌধুরী : তাঁর সময় ও কবিতা নিয়ে আলোচনা করেন কবি তুষার গায়েন।
স্মৃতিচারণ পর্বের সঞ্চালনায় ছিলেন সেলিনা সিদ্দিকী শুশু ও আহমেদ হোসেন। স্মৃতিচারণ করেন নাগরিক স্মরণ সভার সভাপতি কবি দিলারা হাফিজ, ড. তসলিমুর রহমান, নাসির উদদোজা, আমিন মিয়া, এনায়েত করিম বাবুল, কবি পত্নী সাহানা চৌধুরী, নওশের আলী, আসমা আহমেদ, মিনারা বেগম, হিমাদ্রী রয়, মনির জামান রাজু, ফরিদা রহমান, হাসান মাহমুদ, তাসরিনা শিখা, জাহানারা আখতার, সুমন রহমান, মাহবুব চৌধুরী রনি, নজরুল মিন্টো, মঞ্জুর ই খোদা টরিক, শহিদুল ইসলাম মিন্টু, ফায়েজুল করিম, ইত্তেজা আহমেদ টিপু, সুমন সাইয়েদ, ড. বাদল ঘোষ, গোলাম মোস্তফা, মনির হোসেন বাবু, আশরাফ আলী, ফরিদা হক, কবি তনয়া নুসরাত জাহান চৌধুরী শাঁওলীসহ আরো অনেকে ।
সবশেষে কবি পরিবারের সদস্যরা মঞ্চে আসেন। এই সময় পরিবারের সদস্য সাহানা চৌধুরী, আশেক ওয়াহেদ চৌধুরী আসিফ, শারমিন শরিফ, নুসরাত জাহান চৌধুরী শাঁওলী, জারিফ চৌধুরী, নাদিম ইকবাল, অনন্যা চৌধুরী, মিষ্টি ও রায়ান মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। পিতার জন্মদিনে পুত্র আসিফ চৌধুরীর গানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
নাগরিক স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন কবি দিলারা হাফিজ। যুগ্ম সমন্বয় ও গ্রন্থনায় ছিলেন আহমেদ হোসেন ও দেলওয়ার এলাহী।