ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্ট ইসরায়েল-হামাস সংঘাত নিয়ে দেওয়া তাদের সম্মিলিত বিবৃতি প্রত্যাহার বা এর পক্ষে নিজেদের যুক্তি তুলে না ধরলে ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখার হুমকি দিয়েছে বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এক বিবৃতিতে এই সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে ইউনিয়নের বিবৃতির কারণে সৃষ্ট গুরুতর ও চলমান ক্ষতির বিষয়টি তুলে ধরেছে বিশ^বিদ্যালয়। ইউনিয়ন তাদের বিবৃতিতে ‘ঔপনিবেশিক বর্ণবাদী তথাকথিত ইসরায়েল রাষ্ট্রের’ বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশ করা হয়েছে।
স্টুডেন্ট ইউনিয়নের বিবৃতিতে ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ওপর হামলাকে শক্তিশালী প্রতিরোধ কার্যক্রম হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। ১২ অক্টোবর দেওয়া ওই বিবৃতিতে ইউনিয়ন বলেছে, রাষ্ট্র পরিচালিত সহিংসতা, অবরোধ ও গণহত্যার কারণে ১৯৪৮ সাল থেকে ফিলিস্তিনি জনগণ পদ্ধতিগতভাবে তাদের নিজ ভূমি ও ঘর-বাড়ি ছেড়ে যাচ্ছে। ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মরক্ষা ও স্বাধীনতার লড়াইয়ের প্রতি আমাদের ইউনিয়ন দ্ব্যর্থহীন সমর্থন জানাচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের অর্থায়নে পরিচালিত এই ইউনিয়ন গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলারও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তারা বলেছে, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এই হামলা।
ইয়র্ক ইউনির্ভাসিটি তাদের বিবৃতিতে বলেছে, ইউনিয়নকে অবশ্যই্ তাদের বিবৃতি প্রত্যাহার ও ক্ষমা চাইতে হবে। সেই সঙ্গে ক্যাম্পাসে এর প্রভাব শিকার করতে হবে। ইউনিয়নের সব নির্বাহীকে সরিয়ে দিতে হবে। তা না হলে এই বিবৃতি যে ইয়র্কের রেগুলেশন রিগার্ডিং স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশন লঙ্ঘিত হয়নি একই সময়সীমার মধ্যে তা চ্যালেঞ্জ করতে হবে। বিবৃতিটি যদি স্কুলের হয়রানি বিরোধী নীতির লঙ্ঘন করেছে বলে প্রতীয়মান হয় তাহলে ইউনিয়নের ওপর বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে। এর ফলে ইউনিয়নের সঙ্গে বিশ^বিদ্যালয়ের সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হতে পারে।
তবে এখন পর্যন্ত ইয়র্ক ফেডারেশন অব ইউনিয়ন, ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি গ্র্যাজুয়েট স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ও গ্লেনডন কলেজ স্টুডেন্ট ইউনিয়ন কেউই তাদের বিবৃতি প্রত্যাহার করেনি।