কানাডা-ভারত কূটনৈতিক অচলাবস্থার সুযোগ নিয়ে বৈশ্বিক বয়ান পুনর্নিমাণে অস্ত্র হিসেবে ভুয়া তথ্যকে ব্যবহার করা হতে পারে। এমনটাই বলেছেন পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা।
গ্লোবাল এনগেজমেন্ট সেন্টারের কো-অর্ডিনেটর জেমস রুবিন বলেন, রাজনৈতিক বিভেদ হোক, তৃণমূল পর্যায়ে ক্ষোভ হোক, অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা হোক বা ভূ-রাজনৈতিক বিরোধ হোক বিবাদ সবসময়ই মিথ্যাকে জেকে বসা সহজ করে দেয়। একটি দেশের মধ্যে অসন্তোষ থাকলে অপরাধীরা তাকে ব্যবহারের সুযোগ পায়। দুর্ভাগ্যবশত এটা আরও বেশি জেঁকে বসছে।
চীন নিয়ে সেন্টারের নতুন প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে রুবিন বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এখন এই বিভেদ তৈরি করছে, যা বিশে^র সবখানেই বিদ্যমান। আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও অর্থ খরচ করে এই বয়ানকে তাদেরকে মতো করে তৈরি করছে।
তিনি বলেন, ভারত-কানাডা বিরোধকে চীন কাজে লাগাতে চাইছে এমন কোনো প্রমাণ তিনি দেখেননি বলে জানান রুবিন।
ভারত-কানাডার মধ্যকার এই অচলাবস্থা জনসমক্ষে আসে গত মাসে। ওই সময় কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এই ঘোষণা দেন যে, জুন মাসে ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকা-ের সঙ্গে ভারত সরকারের সংশ্লিষ্টতার বিশ^াসযোগ্য তথ্য রয়েছে।
পাঞ্জাবে স্বাধীন শিখ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে ৪৫ বছর বয়সী নিজ্জর একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার সারেতে মুখেঅশ পরা দুই বন্দুকধারী তাকে গুলি করে।
ভারত নিজ্জরকে সন্ত্রাসবাদী হিসেবে আখ্যা দিয়ে ২০০৭ সালের একাধিক হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছিল। তবে এই হত্যাকা-ে জড়িত থাকার কথা জোর দিয়ে অস্বীকার করেছে দেশটি।