অর্থনৈতিক মন্দার কবলে পড়া কিছু পরিবার টেবিলে খাদ্যের ব্যবস্থা করবে নাকি তাদের পোষ্যকে খাবার সরবরাহ করবেÑএই দুটির মধ্যে একটিকে বেছে নিতে হচ্ছে তাদের। এমনটাই জানিয়েছে টরন্টো হিউমেন সোসাইটি।
১৩৫ বছরের বেশি সময় ধরে নগরীর পোষ্য প্রাণীর জীবনমানের উন্নয়নে কাজ করছে সংস্থাটি। সম্প্রতি তারা একটি ফোর-পার্টি সিরিজ চালু করেছে, যার নাম দেওয়া হয়েছে টরন্টো ইন ক্রাইসিস। পোষ্যদের দেখাশোনা ও আবাসন সংকট কীভাবে প্রভাব ফেলছে এবং কিছু ক্ষেত্রে পোষ্যরা তাদের অভিভাবকের কাছ থেকে আলাদা হয়ে যাচ্ছে সিরিজে সেদিকে আলো ফেলা হয়েছে।
টরন্টো হিউমেন সোসাইটির অন্তর্বর্তী প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ফিল নিকোলস বলেছেন, নগরীতে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে আকাশচুম্বি। এর ফলে সাশ্রয়ে পোষ্য পরিচর্যা বিরল হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এই অবস্থায় অনেক কমিউনিটি সদস্যকে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। অর্থাৎ, তারা পরিবারের সবার মুখে খাবার তুলে দেবে নাকি পোষ্যদের মুখেÑএই দুটির মধ্যে যেকোনো একটিকে বেছে নিতে হচ্ছে।
নিকোলস বলেন, দৈনিক সেবা ও সহায়তার যে চাহিদা আসছে তা পূরণ করা তার সংস্থার সক্ষমতার বাইরে। বর্তমানে সহায়তা চেয়ে যে সংখ্যক আবেদন আসছে তা এক বছর আগের একই সময়ের তুলনায় দ্বিগুন। আমাদের যে সম্পদ তা বর্তমান চাহিদা অতিক্রমের সুযোগ দিচ্ছে না। এবং চাহিদা প্রতিদিনই বাড়ছে।
নিকলস বলেন, সংস্থা হিসেবে হিউমেন সোসাইটি এই সমস্যার উৎস বা মূল কারণ সম্পর্কে বোঝার চেষ্টা করছে।
টরন্টো হিউমেন সোসাইটি পরিবারগুলোকে অ্যানিমেল ফস্টার প্রোগ্রামের মাধ্যমে খাবারের সংস্থানে সহায়তা করছে। পরিবারগুলোয় আর্থিক স্থিতিশীলতা আসার পর গড়ে ৮০ শতাংশ পোষ্য তাদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে।