মঙ্গলবার, এপ্রিল ১৬, ২০২৪
8.6 C
Toronto

Latest Posts

ভ্যাকসিন ক্লিনিকের কর্মীরা দুর্ব্যবহার ও বুলিংয়ের শিকার হচ্ছেন

- Advertisement -

দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় থাকা ভ্যাকসিন প্রত্যাশীদের কাছ থেকে ভ্যাকসিন ক্লিনিকসের কর্মীরা দুর্ব্যবহার ও বুলিংয়ের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ অবস্থায় ভ্যাকসিন প্রত্যাশীদের প্রতি ধৈর্য্য ধরার পাশাপাশি শ্রদ্ধাশীল থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।

- Advertisement -

ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচিতে স্বেচ্ছাভিত্তিতে সহায়তা করছে ভ্যাকসিন হান্টারস কানাডা। শনিবার বিকালে এক টুইটে তারা বলেছে, দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার সময় না হওয়া সত্ত্বেও অনেকেই ক্লিনিক কর্মীদের প্রতি দুর্ব্যবহার ও বুলিং করছেন বলে জানতে পেরেছে তারা। কারও সঙ্গেই এ ধরনের ব্যবহার কাক্সিক্ষত নয়।

রেক্সডেল কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে কাজ করছেন টেরেন্স রড্রিগেজ। কয়েক দিন ধরেই তাদের সঙ্গে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে জানিয়ে তিনি বলেন, যতটা সম্ভব লোকজনকে আমরা সহায়তার চেষ্টা করছি। হতাশা ও চাপ থেকেই এ ধরনের ঘটনা ঘটছে বলে মনে হয়। সুতরাং আমাদের চেষ্টা হচ্ছে কত বেশি সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যায় সেদিকে। যদিও কর্মীদের জন্য এটা বেশ চ্যালেঞ্জিং। কারণ, তাদের বেশিরভাগই স্বেচ্ছাবৃত্তিতে কাজ করছেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে কাউকে কাউকে আগ্রাসী হয়ে প্রশ্নের পর প্রশ্ন করতে দেখা গেছে।

তবে তারা যে স্থানীয় স্বাস্থ্য ইউনিটের কাছ থেকে পাওয়া নির্দেশিকা অনুসরণ করছেন মাত্র এবং এটা পরিবর্তনের সুযোগ নেই সেটাও জনগণকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন রড্রিগেজ। তিনি বলেন, ধৈর্য্যই এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই আশা করব লোকজন আমাদেরকে কিছুটা সময় দেবেন। তাদের জন্য দ্বিতীয় ডোজের ব্যবস্থাও হবে। তবে এই মুহূর্তে আমরা সুনির্দিষ্ট কিছু হটস্পটের মানুষ যাদের সক্ষমতা সেভাবে নেই এবং সহায়তাও পায়নি তাদেরকে সেবা দিচ্ছি বেশি।

ডাউনসভিউ এরিনায় পপ-আপ ক্লিনিকের সেবাদানকারী হাম্বার রিভার হসপিটালের মুখপাত্রও একই ধরনের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। তবে তাদের ক্লিনিকে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত নয় উডবাইন এন্টারটেইনমেন্ট। প্রতিষ্ঠানটির একজন মুখপাত্র এ প্রসঙ্গে বলেন, এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলেই আমার আশা। অনেক মানুষ তাদের কমিউনিটির সেবায় স্বেচ্ছায় শ্রম দিচ্ছেন। এটা যদি সত্যি হয়ে থাকে তাহলে এ ধরনের ব্যবহার তাদের জন্য প্রত্যাশিত নয়।

ন্যাশনাল অ্যাডভাইজরি কমিটি অন ইমিউনাইজেশনের সুপারিশ অনুযায়ী ভ্যাকসিনের দুই ডোজের মধ্যবর্তী বিরতীর ঠিক করেছে প্রদেশ। ভ্যাকসিন উৎপাদকদের নির্দেশিত ২১ থেকে ২৮ দিনের পরিবর্তে এটা সর্বোচ্চ ১৬ সপ্তাহ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ভ্যাকসিনেশনে গতি আনতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। তবে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় দুই ডোজের মাঝখানের বিরতি কমানো যায় কিনা সে প্রশ্নও তুলেছেন অনেকে।

- Advertisement -

Latest Posts

Don't Miss

Stay in touch

To be updated with all the latest news, offers and special announcements.