নতুন রিওপেনিং পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গ্রীষ্মে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত বিধিনিষেধ শিথিল করার কার্যক্রম জোরদার করেছে কানাডা। ভ্যাকসিন এক্ষেত্রে সবচেয়ে নতুন ও বড় হাতিয়ার। তবে যে মানদ-ে মহামারির ভয়াবহতা পরিমাপ করা হয় তার অবস্থা গত বছরের গ্রীষ্মের তুলনায় এ বছরের গ্রীষ্মে বেশি খারাপ বলে মনে করছেন ইউনিভার্সিটি অব টরন্টোর রোগতত্ত্ববিদ ও সহকারি অধ্যাপক অ্যাশলেই টুইটসহ অন্য বিশেষজ্ঞরা।
টুইটের ভাষায়, কোন পরিস্থিতিতে ভাইরাসের বিস্তার বেশি ঘটে আর কোন পরিস্থিতিতে কম ঘটে সে সম্পর্কে আমাদের যথেষ্ট জ্ঞান তৈরি হয়েছে। কিছু কিছু প্রদেশের রিওপেনিং নির্দেশিকায় তা অন্তর্ভূক্ত হতেও দেখছি আমরা। গত বসন্ত ও গ্রীষ্মের তুলনায় তা অনেক বেশি জটিল। রিওপেনিং রোডম্যাপে এর মূল্য অনেক। তবে এটা যে বদলে যেতে পারে সেটাও আমাদের মেনে নিতে হবে।
আলবার্টা, অন্টারিও ও ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার মতো প্রদেশগুলো রিওপেনিং পরিকল্পনা করছে সংক্রমণের সংখ্যা হ্রাস, স্বল্প সংখ্যক রোগীর হাসপাতালে ভর্তি ও কত বেশি সংখ্যক মানুষকে অন্তত এক ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে তার ওপর ভিত্তি করে। ইনডোর ডাইনিং ও জিম খুলে দেওয়ার সম্ভাব্য তারিখও ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এগুলো সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ নয় বলে মনে করেন ইউনিভার্সিটি অব টরন্টোর বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ওমর খান। তিনি বলেন, এর অর্থ হলো প্রদেশগুলো এখনও ভাইরাস ভ্যারিয়েন্টসহ অন্যান্য বিষয়ও অর্থনৈতিক কর্মকা- পুনরায় খুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে বিবেচনা করছে।
ভারতে সনাক্ত হওয়া বি.১.৬১৭.২সহ কিছু ভ্যারিয়েন্টের ভ্যাকসিনকে ফাঁকি দেওয়ার ক্ষমতা আছে বলে মনে করা হয়। গবেষণার ফলাফল বলছে, এ ধরনের ভ্যারিয়েন্ট প্রতিরোধে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও ফাইজারের ভ্যাকসিনের মিশ্রণ বেশি কার্যকর।
ওমর খান বলেন, জনগণ এখন মুক্তি চায়। কিন্তু এক্ষেত্রে প্রধান বার্তাটি হলো পরিকল্পনাটি এখনও এক ডোজ ভ্যাকসিনের ভিত্তিতে। দুই ডোজের নয়। এ ধরনের ভ্যারিয়েন্ট এখনও বিদ্যমান। তাই বৈশি^কভাবে এটা স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত আমাদের একে বৈশি^ক হুমকি হিসেবেই দেখতে হবে। স্থানীয় হুমকি হিসেবে দেখলে হবে না। তবে তার মানে এই নয়, প্রদেশগুলোর রিওপেনিং পরিকল্পনায় কোনো ভুল আছে। কিন্তু তাদেরকে এ ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
একই অভিমত ব্যক্ত করেন অ্যাশলেই টুইটও।