ভারতের সঙ্গে কানাডার মাসব্যাপী কূটনৈতিক টানাপড়েনের কেবল শুরু বলে সতর্ক করে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, শিখ নেতা হত্যাকা- তদন্তে স্বচ্ছতা এবং বিদেশি হস্তক্ষেপ বন্ধের উদ্যোগ জোরদার করার মাধ্যমে অন্য দেশগুলোকে হস্তক্ষেপে বাধা দেওয়া সম্ভব।
সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষজ্ঞ জেসিকা ডেভিস বলেন, কাজটা ইন-হাউজ করতে হবে, যাতে করে এটা নিশ্চিত করা যায় যে, আমরা এমন অবস্থানে পৌঁছেছি যার ফলে কোনো বিদেশি রাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করতে চাইলে তা চিহ্নিত ও প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়।
ভারত বুধবার এই বলে সতর্ক করে দিয়েছে যে, কানাডায় পড়তে আসা ভারতীয় শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। অটোয়ায় নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের তিন সপ্তাহ আগে করা মন্তব্যের যা ঠিক উল্টো।
ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় হারদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকা-ের সঙ্গে ভারত সরকারের সম্ভাব্য সংযোগের বিষয়টি কানাডিয়ান গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তদন্ত করছে বলে সোমবার ঘোষণা দেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। নয়া দিল্লির সঙ্গে উত্তেজনার এটাও একটা ইঙ্গিত। তবে এই হত্যাকা-ের সঙ্গে কোনো ধরনের সম্পর্ক থাকার অভিযোগকে ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছে নয়া দিল্লি। এর ফলে ট্রুডো নয়া দিল্লির প্রতি অভিযোগটি গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়ার এবং পুলিশ তদন্তে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় সোমবার এক জ্যেষ্ঠ কূটনীতিককে কানাডা থেকে বহিস্কার করে অটোয়া। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ভারতও নয়া দিল্লিতে এক কানাডিয়ান কূটনীতিককে বহিস্কার করেছে। নিউ ইয়র্কে বুধবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের বক্তৃতায়ও বিদেশি হস্তক্ষেপের বিষয়টি উল্লেখ করেন। যদিও তিনি সরাসরি নিজ্জারের প্রসঙ্গটি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, নেতা হিসেবে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব। এর ব্যত্যয় গ্রহণযোগ্য নয়।