কানাডার পরিবহন নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে বিমানযাত্রীদের অনিষ্পন্ন অভিযোগের পাহাড় তৈরি হয়েছে। এই অভিযোগের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৭ হাজারে। কোভিড-১৯ সংক্রমণের পর সাড়ে তিন বছরে যাত্রা বাতিল ও ক্ষতিপূরণ নিয়ে বিমানযাত্রীদের অভিযোগ অব্যাহত রয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, গত বছর প্রতি মাসে গড়ে ৩ হাজার অভিযোগ কানাডিয়ান ট্রান্সপোর্ট এজেন্সিতে জমা পড়েছে। বর্তমানে অভিযোগের যে স্তূপ তা ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরের তুলনায় প্রায় তিনগুন।
ভ্যানকুভারের বাসিন্দা চ্যাড কেরিচুক এবং মেলিসা ওয়েই বলেন, ২০২১ সালের আগস্টে তাদের নিজ শহর থেকে হ্যালিফ্যাক্সে পৌঁছাতে ছয় ঘণ্টা বিলম্ব হওয়ায় অভিযোগ দায়েরের পরিকল্পনা করছেন তারা। পাাশপাশি বসার জন্য বেশি দাম দিয়ে টিকিট কেনার পরও তাদেরকে তাদেরকে আলাদাভাবে বসতে দেওয়ার ঘটনাটিও অভিযোগে তুলে ধরতে চান তারা।
তারা আংশিক অর্থ ফেরত দেওয়ার অনুরোধ করলেও ওয়েস্টজেট তা প্রত্যাখ্যান করেছে বলে জানান এই দম্পতি। এক ইমেইলে ওয়েস্টজেট তাদেরকে জানিয়েছে, এ ঘটনার পর এক বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে এবং অভিযোগ করার সময়সীমা আগেই শেষ হয়েছে। এ কারণে আপনার দাবিটি আমরা রাখতে পারছি না।
কেরিচুক বলেন, তাদের এই জবাব একজন অনুগত গ্রাহকের ক্ষেত্রে বেমানান। কারণ, বছরের পর বছর ধরে প্রতিদ্বন্দ্বী উড়োজাহাজ পরিবহন সেবাদাতাদের পরিবর্তে ওয়েস্টজেটকে বেছে নিয়েছেন তারা।
এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমাদের সহায়তা করার জন্য কোনো চেষ্টাই তাদের পক্ষ থেকে করা হয়নি। কারণ, মহামারির সময় আমরা তাদেরেক সহায়তা করেছিলাম। আমি মনে করি এটা সম্পূর্ণ অন্যায়।
কোম্পানির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ক্রু বিলম্বের কারণে ওই দম্পতির ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছিল। এটা ওয়েস্টজেটের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এ কারণে তারা অর্থ ফেরত পাওয়ার যোগ্য নন।