ছাড়া থাকা কুকুরের আক্রমণ টরন্টোতে ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় সিটি কর্তৃপক্ষ যদি বেশি সংখ্যক ডগ পার্ক নির্মাণের কৌশল অবলম্বন করে তাহলে এ সমস্যা কমতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন টরন্টোর সিটি কাউন্সিলর ক্রিস ময়েজ।
তিনি বলেন, ডগ পার্কের বিষয়ে আমরা কখনোই কোনো পরিকল্পনা করিনি। সব সময়ই বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলররা কমিউনিটি ও কর্মীদের সঙ্গে কাজ করেছেন। নিজের ওয়ার্ডে ডগ পার্ক নির্মাণের জন্য কাজ করেছেন তারা। কোভিড-১৯ মহামারির সময় কুকুরের বাচ্চার সংখ্যা বেড়ে যাওয়াই বিদ্যমান এই সমস্যার অন্যতম কারণ।
তিনি বলেন, টরন্টোতে বর্তমানে কুকুর রয়েছে তিন লাখের মতো। এ সংখ্যা বাড়ছে এবং সেই সঙ্গে সমস্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। কারণ, কুকুর থাকা ও না থাকা ব্যক্তিরা একই স্পেস ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন এবং সেখানে কিছু উদ্বেগ থাকছেই।
নগরীতে কুকুরের জন্য স্থান বৃদ্ধির জন্য একটি মহাপরিকল্পনা তৈরির সুপারিশ সম্বলিত একটি চিঠি নগরীর অবকাঠামো ও পরিবেশ কমিটিতে উপস্থাপনের পরিকল্পনা করছেন ময়েজ। তিনি বলেন, কোনো নতুন পার্ক নির্মাণের এবং বিদ্যমান পার্ক সংস্কারের সময় সেখানে যাতে ডগ পার্কের ব্যবস্থা থাকে সিটি কর্মীদের এ ধরনের পরিকল্পনা আছে বলে তার বিশ্বাস।
কোথায় কুকুর হাঁটবে তা নিয়ে কুকুরের মালিক ও মালিক নয় এমন ব্যক্তিদের মধ্যে উত্তেজনার পর ময়েজের এই প্রস্তাব সামনে এল। বিশেষ করে কুকুরের মালিকার যখন তাদেরকে ছেড়ে দেন তখনই এ নিয়ে বেশি উদ্বেগ তৈরি হয়।
গত মে মাসে সেন্ট ক্লেয়ার এভিনিউ ওয়েস্ট এবং ওকউড এভিনিউয়ের কাছে রলিনসন কমিউনিটি স্কুলে ছাড়া থাকা একটি কুকুরের আক্রমণের শিকার হয়ে এক শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। জুলাইয়ে আরেকটি ঘটনায় এক নারী তার বাড়ির পাশে ছাড়া থাকা একটি কুকুরের আক্রমণের শিকার হন। ঘটনাটি ঘটে ইস্ট ইয়র্কে।
সিটি কর্তৃপক্ষও গত মাসে ছাড়া থাকা কুকুরের আক্রমণের ঘটনা বেড়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে। বিশেষ করে এর বেশি শিকার হয়েছে শিশুরা।