বিশ্ব ভ্রমণের আগে এক বছর আগে অন্টারিওর এক দম্পতি সবকিছু বিক্রি করে দিয়ে বাড়ি ছেড়েছিলেন। এক দশকের পার্টনার বেন রথকে সঙ্গে নিয়ে ২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর লেক অন্টারিও থেকে যাত্রা করেছিলেন স্টিভ ইয়াসন।
সেই কথা স্মরণ করতে গিয়ে তিনি বলেন. অনেকটা ভয়ের বিষয় ছিল সেটা। আমরা কোথায় যাচ্ছি সে ব্যাপারে আমাদের কোনো ধারণা ছিল না।
পরিকল্পনাটি হয়েছিল হ্যামিল্টনে তাদের নিজ শহর হারবার থেকে যাত্রা করার ছয় থেকে সাত বছর আগে। ২০ বছর ধরে পাইলটের দায়িত্ব পালন করা ইয়াসন বাড়ি ফিরে বলেন, বেন, তুমি কি একটি সেইলবোট কিনতে চাও?
রথ সেভাবে রাজি না হলেও ইয়াসন সেটাই করেন এবং লেক অন্টারিওর চারপাশে ঘুরতে শুরু করেন। মহামারি শুরু হওয়ার সময় দুজনের মাথায়ই এই চিন্তা আসে যে, তাদের এই শখকে পূর্ণকালীন কার্যক্রমে পরিণত করলে কেমন হয়।
ইয়াসন বলেন, আমরা এমন একটি বোট খুঁজে পেলাম যেখানে আমরা বসবাস করতে পারি এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী দ্রুতই সব কিছু ঘটে গেল। তারা এর নাম দিলেন ‘ওহ ক্যারিবো’ এবং তাদের অভিযানের ঘটনা পরম্পরা তুলে ধরতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি অ্যাকাউন্ট চালু করেন।
ইয়াসন পাইলটের চাকরি ছেড়ে একটি উৎপাদন কারখানা পরিচালনা শুরু করেন। আর রথ পিন্টারেস্টে তার দায়িত্ব ছেড়ে অ্যানালিটিক্স কনসাল্টিংয়ে য্্োগদান করেন। ইয়াসন বলেন, কোনো অর্থেই আমাদেরকে ধনি বলা যাবে না। সাধারণ মানুষের মতো ব্যয় করার সামর্থ্যও আমাদের নেই।
হ্যামিল্টনে তাদের বাড়িটি তারা ভাড়া দিয়ে দেন এবং জিনিসপত্রগুলো বিক্রি করে দেন। যাত্রার আগের সপ্তাহে কম্বল বিছিয়ে তারা মেঝের ওপরই ঘুমিয়েছিলেন।
হ্যামিল্টন থেকে তারা ফ্লোরিডার উদ্দেশে যাত্রা করেন। ডমিনিকান রিপাবলিক, পুয়ের্তো রিকো, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড ও গ্রেনাডায় পৌঁছানোর আগে তারা পূর্ব উপকূলের সবগুলো রাজ্য ছুঁয়ে যান। ওই সময় তারা ১৫টি দেশ ও কাউন্টি ঘোরেন। যাত্রার সময়টাতে তারা তাদের বোটের পাশে ডলফিনকে খেলা করতে দেখেন। নিচ থেকে হাঙরকে উঁকি মারতেও দেখেন তারা।
যাত্রাপথে তারা পেনি নামে একটি উদ্ধারকারী কুকুরকেও সঙ্গী করে নেন। ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডের একটি স্থানীয় আশ্রয়কেন্দ্রে তাকে রোগা অবস্থায় দেখে তাকে তুলে নেন তারা। নোঙর তোলার এক সপ্তাহ আগে বা এরকম সময়ে আবহাওয়া পরিস্থিতি দেখে নিতেন। আমাদের সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করত আবহাওয়া-বলেন তিনি।