মে মাসে কানাডায় কাজ হারিয়েছেন মোট ৬৮ হাজার। এ কর্মচ্যুতির অর্ধেকই হয়েছে অন্টারিওতে। গত শুক্রবার প্রকাশিত স্ট্যাটিস্টিকস কানাডার শ্রমশক্তি জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। জরিপের তথ্য অনুযায়ী, গত মাসে অন্টারিওতে চাকরিচ্যুতি হয়েছে ৩২ হাজার। এর ফলে প্রদেশটিতে বেকারত্বের হার দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৩ শতাংশ।
স্ট্যাটিস্টিকস কানাডার উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, মে মাসে কর্মচ্যুতি এপ্রিলের তুলনায় দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে। গত এপ্রিলে কানাডায় কর্মচ্যুতি হয়েছিল মোট ১ লাখ ৫৩ হাজার।
জরিপের নমুনা সংগ্রহের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয় ৯ মে থেকে ১৫ মে পর্যন্ত, যখন অন্টারি তে চলছিল স্টে-অ্যাট-হোম আদেশ। এ আদেশের ফলে বেশিরভাগ অনাবশ্যক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেই সশরীরে কেনাকাটা বন্ধ ছিল। সশরীরে সেবা দেওয়া বন্ধ ছিল রেস্তোরাঁ ও বারগুলোতেও। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যাওয়াও ছিল অবৈধ।
স্ট্যাটিস্টিকস কানাডা বলছে, অন্টারিও এবং নোভা স্কশিয়াতে সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান হ্রাসের কারণ মূলত লকডাউন। অন্টারিওতে যারা চাকরি হারিয়েছেন তাদের মধ্যে ২৩ হাজার জনই খ-কালীন কাজে নিয়োজিত ছিলেন। পূর্ণকালীন চাকরিতে ছিলেন বাকি ৯ হাজার।
শ্রমশক্তি জরিপে বলা হয়েছে, সবচেয়ে বেশি চাকরি খোয়া গেছে খুচরা বিক্রয় ও তথ্য, সংস্কৃতি ও বিনোদন খাতে। সবচেয়ে বেশি মানুষ কর্মে নিয়োজিত ছিলেন আবাসন ও খাদ্য পরিষেবার মতো সেবা খাতে। উৎপাদন ও নির্মাণ খাতেও কর্মচ্যুতি দেখা গেছে।
অন্টারিওর অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী ভিক ফেডেলি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি যে প্রদেশের ব্যক্তি, পরিবার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর আঘাত অব্যাহত রেখেছে এই পরিসংখ্যান আমাদের সেটাই মনে করিয়ে দিচ্ছে। এই ক্ষতি আমরা অনুভব করতে পারছি এবং প্রতিদিনই আমাদের কমিউনিটিগুলোতে প্রত্যক্ষ করছি। তবে অন্টারিওতে ভ্যাকসিনেশন গতিশীল হওয়ায় সুড়ঙ্গের শেষে আলো দেখা যাচ্ছে।
অন্টারিওতে ঘোষিত স্টে-অ্যাট-হোম আদেশের মেয়াদ ২ মে শেষ হয়েছে। তবে অর্থনৈতিক কর্মকা- পুনরায় শুরু করতে ১১ জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। অন্টারিওর রিওপেনিং পরিকল্পনার প্রথম ধাপের আওতায় অনাবশ্যক খুচরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ধারণক্ষমতার সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ ব্যবহার করে খুলতে পারবে। এর ২১ দিনের আগে দ্বিতীয় ধাপে যেতে পারবে না অন্টারিও।