এমআরএনএ প্রযুক্তি নিয়ে কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ২০২১ সালের প্রিন্সেস অ্যাস্টারিয়া বিজ্ঞান পুরস্কার পেয়েছেন টরন্টোতে জন্ম নেওয়া এবং বর্তমানে বোস্টনে বসবাসরত ডেরিক রোসি। এই প্রযুক্তির কল্যাণেই কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন তৈরি সম্ভব হয়েছে।
সম্মানজনক ইউরোপিয়ান বিজ্ঞান পদক পেয়ে তিনি গর্বিত বলে মন্তব্য করেছেন ডেরিক রোসি। এর আগে স্টিফেন হকিংসের মতো প্রথিতযশা বিজ্ঞানীরা এই পুরস্কার পেয়েছেন।
রোসি বলেন, আমার জন্য এটা বিরাট সম্মান। আগে যারা পুরস্কারটি পেয়েছেন তাদের দিকে তাকালে আমার জন্য সত্যিই এটা গর্বের। তাদের সঙ্গে থাকতে পারাটা সত্যিই আলাদা কিছু।
ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করার সুবাদে হাঙ্গেরি, জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন বিজ্ঞানীও এ বছর পুরস্কারটি পেয়েছেন। নির্বাচক প্যানেলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিজ্ঞানের ইতিহাসের অসাধারণ এই অর্জনের পেছনে তারা নেতৃস্থানীয় মুখ। তাদের কারণেই এতো স্বল্প সময়ে ভ্যাকসিন তৈরি সম্ভব হয়েছে।
ফাইজার ও মডার্না উভয়েই কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন তৈরিতে এমআরএনএ প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে। ভ্যাকসিন উৎপাদনে এই প্রথম প্রযুক্তিটি ব্যবহার করা হলো।
সহ-প্রতিষ্ঠাতা হলেও রোসি এখন আর মডার্নার সঙ্গে নেই। বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে কাজ করছেন তিনি। রোসির লক্ষ্যই ছিল তার কাজ মানব স্বাস্থ্যের ইতিবাচক কাজে লাগে। তিনি বলেন, আপনার কাজের একটা প্রভাব থাকুক, অবশ্যই আপনি তা চাইবেন। বিজ্ঞানের সাহায্যে মানুষের জীবন উন্নত করার চেষ্টা আমি এখনও করে যাচ্ছি। আমার বেশি মনোযোগ এখন দরিদ্র দেশগুলোতে বিষধর সাপের কামড়ের প্রভাব নিয়ে কাজে।
রোসি বলেন, সাপের কামড়ে প্রতি বছর এক লাখ মানুষ প্রাণ হারায়। সেই সঙ্গে হাজারো মানুষ অচল হয়ে যায়। এই মুহূর্তে এটা বড় ধরনের বৈশি^ক স্বাস্থ্য সংকট। দ্য কানাডিয়ান প্রেস এর খবর।