বহু সংস্কৃতির দেশ কানাডার ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতির মধ্যে সেতুবন্ধ তৈরি এবং নতুন প্রজন্মের কাছে লোকজ সংস্কৃতির শিকড়কে পৌঁছে দিতে গত ২৯ ও ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিত হয়‘স্কারবোরো ফোক ফেস্টিভ্যাল’। স্কারবোরোর থমসন মেমোরিয়াল পার্কে বেলা ৩টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় ব্যতিক্রমী এই বর্ণাঢ্য উৎসব।
বেসরকারি সংস্থা ‘পরম্পরা কানাডা’র উদ্যোগ এবং ওন্টারিও কালচারেল অ্যাট্রাকশনস ফান্ড, ফ্যাক্টর কানাডা, স্কারবোরো আর্টস, ডিজিটিউন ইভেন্টসের সহায়তায় এ আয়োজনের উপকারভোগী দাতব্য প্রতিষ্ঠান স্কারবোরো হেলথ নেটওয়ার্কের লাভ স্কারবোরো ক্যাম্পেইন।
বর্ণবাদ এবং বৈষম্যের মোকাবিলা করে আন্তসাংস্কৃতিক এবং আন্তধর্মীয় বোঝাপড়ার প্রচার করা এবং কানাডীয় সমাজে সবার সম্পূর্ণ অংশগ্রহণের জন্য ন্যায়সংগত সুযোগ তৈরি করাই উৎসবের লক্ষ্য। টরন্টো সিটি মেয়র অলিভিয়া অলিভিয়া চাও, ডলি বেগম এমপিপিসহ কমিউনিটির বিশিষ্টজন ২৯ জুলাই বিকালের উদ্বোধনী পর্বে উপস্থিত ছিলেন।
দুই দিনের এ আয়োজনে কানাডার আদিবাসী সংস্কৃতি থেকে শুরু করে অভিবাসী—নানা কমিউনিটির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরা হয়। তবে উল্লেখযোগ্য অংশজুড়ে ছিলো বাংলাদেশি সংস্কৃতির পরিবেশনা। বিভিন্ন কমিউনিটির প্রায় তিন শতাধিক শিল্পী এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন। স্কারবোরো ফোক ফেস্টিভ্যালের প্রতিষ্ঠাতা এবং আর্টিস্টিক ডিরেক্টর উজ্জ্বল দাশ বলেন, প্রতিটি অঞ্চল, প্রতিটি দেশ, সব মানুষেরই নিজস্ব একটা গল্প থাকে। সেই গল্পকে সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার মঞ্চ হচ্ছে স্কারবোরো ফোক ফেস্টিভ্যাল।
আয়োজক প্রতিষ্ঠান ‘পরম্পরা কানাডা’র সেক্রেটারি জেনারেল জ্যোতি পুরকায়স্থ জানান, ‘পরম্পরা কানাডা’ শিল্প-সংস্কৃতিচর্চার মাধ্যমে বহু সংস্কৃতির সমাজে নানা কমিউনিটি নানা সংস্কৃতির একটা মেলবন্ধন তৈরির লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। স্কোরবোরো ফোক ফেস্টিভ্যালের আয়োজন তারই অংশ।
ব্যতিক্রমী এ আয়োজনকে উপভোগ করতে বাংলাদেশি কমিউনিটির বিপুল সংখ্যক সদস্য সপরিবারে উপস্থিত ছিলেন।