চার বছর আগে কেলসি মিশেলের নিজের কোনো বাইকই ছিল না। শেরউডের ২৭ বছর বয়সী এই ট্র্যাক সাইক্লিষ্টই কিনা টোকিও অলিম্পিকে কানাডার পক্ষে শেষ সোনার পদকটি জিতলেন। উইমেন’স স্প্রিন্টে পদকটি পান তিনি।
ইউক্রেনের ওলেনা স্টারিকোভাকে দুই হিটে সরাসরি হারিয়ে স্বর্ণ পদকটি লাভ করেন তিনি। পুরো ইভেন্টে একবারের জন্য লিড হাতছাড়া করেননি মিশেল। এই ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জিতেছেন হংকংয়ের লি ওয়াই সি।
মিশেলের স্বর্ণ পদকের মধ্য দিয়ে টোকিও অলিম্পিকে ২৪তম পদকটি পেল কানাডা। বয়কট না করা যেকোনো গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক আসরে কানাডার এটা সর্বোচ্চ সংখ্যক পদক। পাঁচ বছর আগে অনুষ্ঠিত রিও অলিম্পিকে ২২টি পদক জিতেছিল কানাডা।
লরি-অ্যান মুয়েনজারের পর মিশেল হচ্ছেন ব্যক্তিগত ইভেন্টে ট্র্যাক সাইক্লিংয়ে স্বর্ণ পদক পাওয়া দ্বিতীয় নারী। ২০০৪ সালে কানাডার প্রথম নারী হিসেবে এই ইভেন্টে স্বর্ণ পদক ছিলেন লরি-অ্যান মুয়েনজার।
মিশেল একজন সাবেক ইউনিভার্সিটি ফুটবল খেলোয়াড় এবং ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে আরবিসি টেইনিং ক্যাম্পে অংশ নিয়েছিলেন। ট্রেইনিং গ্রাউন্ড তৈরি হয়েছে কানাডিয়ান অলিম্পিক কমিটি, দ্য কানাডিয়ান অলিম্পিক ফেডারেশন, সিবিসি স্পোর্টস, বিভিন্ন জাতীয় স্পোর্ট ইনস্টিটিউট ও ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতায়। এই কর্মসূচির অভীষ্ট বিভিন্ন পর্যায়ের স্পোর্ট থেকে ১৪ থেকে ২৫ বছর বয়সী অ্যাথলেটদের সংগ্রহ করে তাদের উচ্চ পারফর্মেন্সের সুযোগ অবারিত ও গভীর করা। একাধিক পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের গতি, বল, শক্তি ও সহ্যক্ষমতা যাচাই করা হয়, পরবর্তীতে যা জাতীয় স্পোর্ট ফেডারেশনগুলোতে পাঠানো হয়ে থাকে।
ট্র্যাক সাইক্লিংয়ে মিশেলের বেড়ে ওঠাও এই প্রক্রিয়াতেই। ২০১৯ সালে পেরুর রাজধানী লিমায় অনুষ্ঠিত প্যান আমেরিকান গেমসেও সোনা জেতেন মিশেল। একই বছর বলিভিয়ায় প্যান আমেরিকান ট্র্যাক সাইক্লিং চ্যাম্পিয়নশীপেও মেয়েদের ২০০ মিটার ফ্লাইংয়ে বিশ^ রেকর্ড গড়েন তিনি।