ডাউনটাউন টরন্টোর পার্কগুলো থেকে গৃহহীনদের তাঁবু সরাতে ও এর স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে অন্তত ২০ লাখ ডলার ব্যয় হয়েছে সিটি কর্তৃপক্ষের। এর মধ্যে ৮ লাখ ৪০ হাজার ডলার ব্যয় হয়েছে তিনটি বড় তাঁবু সরাতে। পার্কগুলোর স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরাতে ব্যয় হয়েছে আরও ১১ লাখ ৫০ হাজার ডলার।
গত কছেশ মাসে ট্রিনিটি-বেলউডস পার্ক, আলেক্সান্দ্রা পার্ক ও ল্যাম্পোর্ট স্টেডিয়াম পার্ক তিনটি খালি করা হয়। এ জন্য কি পরিমাণ ব্যয় হয়েছে সে তথ্য শুক্রবার প্রকাশ করেছে সিটি কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ট্রিনিটি-বেলউডস পার্ক খালি করার কাজে খরচ হয়েছে ৪ লাখ ১৬ হাজার ৬৯০ ডলার। এছাড়া আলেক্সান্দ্রা পার্ক খালি করতে ২ লাখ ৪৯ ডলার এবং ল্যাম্পোর্ট স্ট্রেডিয়াম পার্ক খালি করতে লেগেছে ২ লাখ ২৩ হাজার ৩৮৮ ডলার। সিটি কর্তৃপক্ষ ও বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মী, টরন্টো পুলিশ, দমকল ও প্যারামেডিক কর্মী, পরিবহন সেবার সরঞ্জাম, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সেবা এবং বাস সেবা ও ব্যক্তিগত সুরক্ষা উপকরণ বাবদ ব্যয় এর মধ্যে অন্যতম।
সিটি কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে তিনটি এলাকা থেকে প্রায় ৭৫ টন ভগ্নাবশেষ অপসারণ করা হয়েছে।
পার্কগুলো খালি করতে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সহিংস সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি সিটি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে ভীতি তৈরির অভিযোগও করেছেন সমালোচকরা। যদিও সিটি কর্তৃপক্ষ বলছে, তাঁবুর বাসিন্দাদের সঙ্গে কয়েক মাস ধরে আলোচনার পরই পদক্ষেপটি নেওয়া হয়েছে। বাসিন্দাদের বিকল্প আবাসনের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। কারণ, তারা যেখানে বাস করছিলেন তা অনিরাপদ, অস্বাস্থ্যকর ও অবৈধ।
সিটি কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে তাঁবুগুলোতে ২৫৩টি আগুনের ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করতে হয়েছে দমকল কর্মীদের। আগের বছরের চেয়ে সংখ্যাটি ২৫০ শতাংশ বেশি। তাছাড়া গ্রীষ্মকালীন ক্যাম্প ও খেলাধুলাসহ অন্যান্য নাগরিক সেবায় পার্কের জায়গার প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।
এদিকে পার্কের জমি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে আরও ৭ লাখ ৯২ হাজার ৬৬৮ ডলার খরচ হয়েছে বলে জানিয়েছে সিটি কর্তৃপক্ষ। এছাড়া বেড়া দিতে খরচ হয়েছে ৩ লাখ ৫৭ হাজার ডলার। সবমিলিয়ে খরচ দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৮৯ হাজার ৭৯৫ ডলার।