অভিবাসীগণ কানাডার ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার বৃহৎ অংশ এবং সামগ্রিকভাবে কানাডিয়ান অর্থনীতি, সমাজ-সংস্কৃতি ও রাজনীতিতে অপরিসীম অবদান রেখে এগিয়ে চলছে। তাই গত ২০০৯ সাল থেকে প্রতি বছর শ্রেষ্ঠ ২৫ অভিবাসীকে পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। বর্তমান বছরে শীর্ষ ২৫ অভিবাসী ১৩তম বার্ষিক পুরস্কারের জন্য ৭৫ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। বাংলাদেশী-কানাডিয়ানদের জন্য এ পর্যায়ে একটি আনন্দের সংবাদ হল এ তালিকায় একজন উঠে এসেছেন একজন বাংলাদেশির নাম। এই বাংলাদেশি হলেন আমাদের প্রিয়মুখ লেখক, সাহিত্যিক, গবেষক, সমাজ ও সাংস্কৃতিককর্মী সুব্রত কুমার দাস।
উল্লেখ করা যেতে পারে, এ পুরস্কার এমন ২৫ জন অভিবাসীকে প্রদান করা হয়, যারা কানাডায় এসে নিজ নিজ যোগ্যতায় লক্ষণীয় অবদান রেখেছেন কানাডার বর্ধিষ্ণু সমাজে। ৭৫ থেকে ২৫ নির্বাচন অধিকাংশতই জনগনের হাতে। কোনও সম্প্রদায়ের একনিষ্ঠ ও বিশ্বস্ত সহায়তাকারী , সফল উদ্যোক্তা, প্রতিভাবান সাংস্কৃতিক কর্মী বা স্বেচ্ছাসেবক হোক না কেন, আপনি আস্থাশীল এমন কাউকে মনোনীত করতে পারেন যাদের অবদানের জন্য স্বীকৃতি দেওয়া আপনি ন্যায় সঙ্গত মনে করেন। এ বছর পুরস্কারের জন্য শত শত মনোনয়ন এসেছে। যারা জমা দিয়েছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। নমিনেশনের মধ্য থেকে বিচারকমণ্ডলী ৭৫ জনের একটি সংক্ষিপ্ত চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে। প্রার্থীগণ কানাডার বিভিন্ন সম্প্রদায় এবং বহুধা ক্ষেত্র থেকে এসেছেন। ভোটের মাধ্যমে ২৫ শীর্ষ অভিবাসীদের কৃতিত্বকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্যে ২৬ জুলাই ২০২১ থেকে ভোটিং প্রক্রিয়া চলছে। ভোট দিতে নিচের ওয়েবসাইটে যেতেঃ https://canadianimmigrant.ca/canadas-top-25-immigrants
বলে রাখা যেতে পারে চূড়ান্ত প্রার্থীদের নামগুলির নীচে “জীবনী” লিঙ্কটিতে ক্লিক করে তাদের সম্পর্কে জানতে পারা যায়। একজন ভোটার তিনজনকে ভোট দিতে পারবেন। “এখনই ভোট দিন” বাক্সটি পরীক্ষা করে তিনটি পৃথক চূড়ান্ত প্রার্থী নির্বাচন করতে হবে। এরপর আপনার ইমেল ঠিকানাটি দিয়ে “এখনই ভোট দিন” বোতামটি ক্লিক করে পৃষ্ঠার নীচে আপনার ভোট দেওয়া সম্ভব। আপনি তিনজন পর্যন্ত চূড়ান্ত প্রার্থীর পক্ষে ভোট দিতে পারেন। আপনার বন্ধু, পরিবার এবং সহকর্মীদের তাদের পছন্দের পক্ষে ভোট দিতে উত্সাহিত করে শীর্ষ ২৫ কানাডিয়ান অভিবাসীদের নির্বাচন করতে সহায়তা করতে পারেন।
আমাদের প্রিয়মুখ লেখক, গবেষক এবং সংগঠক সুব্রত কুমার দাস সম্প্রতি বাংলা-ভাষায় কানাডীয় সাহিত্যের উপর “কানাডীয় সাহিত্য ও বিচ্ছিন্ন ভাবনা” বইটি লিখে ঐতিহাসিক একটি দায়িত্ব পালন করেছেন । এই বইটি বাংলা ভাষা-ভাষীদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ এ কারণে যে বহু-সংস্কৃতির দেশ কানাডার সমৃদ্ধ সাহিত্য সম্ভারকে সুব্রত বাংলা ভাষার পাঠকদের নিকট প্রথমবারের মতো পরিচয় করিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছেন।
তিনি প্রথমবারের মত ৪১তম টরন্টো ইন্টারন্যাশনাল ফেষ্টিভ্যাল অফ অথার্সে (TIFA) ১১জন লেখককে সাথে নিয়ে কানাডায় বাঙালি লেখকদের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এভাবে তিনি কানাডীয় সাহিত্যকদের সাথে বাঙালি সাহিত্যিকদের একটি সেতুবন্ধ নির্মাণ করে চলেছেন। তিনি দীর্ঘদিন এনআরবি টেলিভিশনে কানাডা জার্নালসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান উপস্থাপন করেছেন যেখানে ধর্ম, সমাজনীতি, রাজনীতি তথা বৈষম্য এবং অবিচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার আলোচনার অবতারণা করেছেন দৃঢ় কণ্ঠে। শুধু টরন্টো নয় সারা কানাডার বাঙালিদের সাথে সংযোগ স্থাপন করে তিনি সবাইকে যূথবদ্ধ করে কাজ করতে উৎসাহিত করে থাকেন। চেষ্টা করেন কানাডায় বাংলা ভাষা ও বাঙালি সংস্কৃতিতে তুলে ধরতে।
চলুন আমরা সবাই আত্মীয় পরিজন ও বন্ধু-বান্ধব মিলে বাংলাদেশী-কানাডিয়ান একমাত্র মনোনীত প্রার্থী সুব্রত কুমার দাসকে ভোট দিয়ে শীর্ষে পৌঁছে দেই, গর্বিত বাংলাদেশী-কানাডিয়ান হই।