কোভিড-১৯ মহামারি শুরু হওয়ার পর ১২তম মাসে পড়েছে কানাডা। যদিও স্বাস্থ্য সংকট থেকে উদ্ভূত কর্মহীন, অসুস্থ্য ও ঋণগ্রস্ত কানাডিয়ানদের আর্থিক পীড়ন এখনও লাঘব হয়নি।
সম্প্রতি কয়েক মাস ধরেই স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংগঠন ঋণ মওকুফের জন্য সরকারের চাপ বাড়াচ্ছে। নীতিটি নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে। তবে সম্প্রতি পরিচালিত একটি জাতীয় সমীক্ষার ফলাফল বলছে, অধিকাংশ কানাডিয়ানেরই নীতিটির প্রতি সমর্থন আছে, বিশেষ করে গুরুতর অসুস্থ্যতা, কর্মহীনতা ও প্রিয়জনকে হারানোর মতো তিনটি বিষয়কে যদি বিবেচনায় নেওয়া হয়।
ব্রমউইচ অ্যান্ড স্মিথের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেসমিন মারা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, কোভিড-১৯ মহামারির সামগ্রিক অভিজ্ঞতা হলোÑএটা আমাদের আরও বেশি মানবিক হতে শিখিয়েছে।
গত বছরের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে দেড় হাজারের বেশি কানাডিয়ানের ওপর একটি সমীক্ষা চালায় প্রতিষ্ঠানটি। সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৮ জনই গুরুতর অসুস্থ্যতাজনিত ঋণ মওকুফের পক্ষে মত দিয়েছেন। নিকটজনের মৃত্যুজনিক কারণে ঋণ মওকুফের পক্ষে সমর্থন ব্যক্ত করেছেন সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৭২ শতাংশ কানাডিয়ান। আর ৬৩ শতাংশের মত হচ্ছে কর্ম হারানোর কারণে ঋণ মওকুফের সুযোগ পাওয়া উচিত।
ব্রমউইচ অ্যান্ড স্মিথের দেউলিয়াত্ব বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট শন স্ট্যাক এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ঋণকে কেন্দ্র করে বিদ্যমান যে স্টিগমা তা কমার একটা আশা সমীক্ষার ফলাফলে দেখা যাচ্ছে। এ ধরনের স্টিগমা দূর করাটা সত্যিই খুব জরুরি।
সমানুভূতি ও স্টিগমা ঝেড়ে ফেলার মধ্যে ইমোশনাল সুবিধা আছে বটে, তবে ঋণ মওকুফের প্রসঙ্গটি এলে সরকার আর্থিক ক্ষমতাটি ধরে রাখছে। ফেডারেল সরকার এরইমধ্যে পরিস্কার করে জানিয়ে দিয়েছে যে, মেসেজিং-সংক্রান্ত ভুল সত্ত্বেও স্বকর্মে নিয়োজিত অনেককে কানাডা ইমার্জেন্সি রেসপন্স বেনিফিটের আওতায় প্রাপ্ত অর্থ ফেরত দিতে হবে।
এর আগে ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন প্রাদেশিক সরকারের কাছে আংশিক কর মওকুফের আর্জি জানিয়েছিল। প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজন নির্দিষ্ট সময়ে কর পরিশোধে সমর্থ নন, এক জরিপে এমন ফলাফল আসার পর অনুরোধটি করেছিল তারা।
স্ট্যাক বলছেন, এই সময়ে জনগণ যে ভীষণভাবে আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, কারও মনেই এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।