ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটি হেলথ কেয়ারের (এমইউএইচসি) বিরুদ্ধে কর্মী ও রোগীদের ব্যাপারে পদ্ধতিগত বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে
ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটি হেলথ কেয়ারের (এমইউএইচসি) বিরুদ্ধে কর্মী ও রোগীদের ব্যাপারে পদ্ধতিগত বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। মন্ট্রিয়ল গেজেটের হাতে আসা প্রাথমিক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
একাধিক অভিযোগ জানানোর পরও অনেক বছর ধরেই বর্ণবাদ, ভয় দেখানো ও অন্যান্য সমস্যা চলছে বলে কর্মী ও রোগীদের নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিরা জানিয়েছেন। রেজিলিয়েন্স মন্ট্রিয়ল ডে শেল্টারের কর্মী ভিকি ম্যাকডোনাল্ড বলেন, আদিবাসী মায়েরা এমইউএইচসিসহ সব হাসপাতালেই বৈষম্যের শিকার হয়ে থাকেন। এটা অনেক। প্রসব সংক্রান্ত বহু সতর্কতা দেওয়া হয়। গত মাসে একজন আদিবাসী মা এমইউএইচসির গ্লেন হাসপাতালে সন্তান জন্ম দেন এবং এরপর যা ঘটেছে তা বিরক্তিকর। আমি সেখানে পৌঁছানোর ২০ মিনিট আগেই তারা শিশুটিকে নিয়ে নেয়। আমি কারভর্তি কাপড়-চোপড়, ডায়াপার এনেছিলাম। কার সিটের ব্যবস্থাও করেছিলাম।
ম্যাকডোনাল্ড বলেন, সেখানে পৌঁছে পরিবারটিকে বাইরে কাঁদতে দেখি। কারণ, কে শিশুটিকে নিয়ে গেছে সে সংক্রান্ত কোনো তথ্য তারা পাচ্ছিলেন না। একজন কর্মী জানান, মা নাকি শিশুটির জন্য প্রস্তুত ছিলেন না। তার মুখ থেকে অ্যালকোহলের গন্ধ পাওয়া গেছে। কিন্তু তার পুরো গর্ভকালীন সময়ে তিনি মদপান করেননি। তার হাত পরিস্কার করতে যে অ্যালকোহল ব্যবহার করা হয়েছে, তারা হয়তো সে গন্ধ পেয়ে থাকতে পারেন।
কয়েকদিন পর ম্যাকডোনাল্ড শিশুটিকে খুঁজে পেয়ে পরিবারের হাতে তুলে দেন। ডন ম্যাকনিকোলস নামে রোগীর একজন অ্যাটেন্ড্যান্ট বলেন, বর্ণবাদের মধ্যে পড়ে এমন বহু ঘটনা হাসপাতালটিতে তিনি ঘটতে দেখেছেন। এটা একটা ধরণ হয়ে গেছে।
১৯৯০ সালেই লাইসেন্ডড প্র্যাকটিক্যাল নার্সের (এলপিএন) যোগ্যতা অর্জনের পরও এখনও তিনি পেশেন্ট অ্যাটেন্ড্যান্ট। এটাকে বর্ণবাদ বলে মন্তব্য করেন রাতের পালার এই কর্মী। প্রান্তিক জাসিগোষ্ঠীর অন্য কর্মীরাও পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত বলে জানান ম্যাকনিকোলস।
রোগীদের কাছ থেকেও বৈষ্যম্যের শিকার হতে হয় বলে জানান ম্যাকনিকোলস। তিনি বলেন, এক রাতে এক রোগী তাকে স্পর্শ না করতে বলে দেন। ওই রোগী বলেন, আমি চাই না তুমি আমাকে স্পর্শ কর। এরপর আমাকে বেরিয়ে যেতে বলেন।
আবার ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর রোগীদের দেওয়া সেবার মানও খুব খারাপ হয়ে থাকে বলে জানান তিনি। ম্যাকনিকোলস বলেন, এটা খুবই পরিস্কার। প্রতি সপ্তাহে এমন অনেক রাত আসে যখন ওইসব রোগীদের নোংরার মধ্যে রেখে দেওয়া হয়। এ নিয়ে আমি অভিযোগ করেছি, ছবি তুলে তা দেখার জন্য ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি।