২০১৯ সালের নির্বাচনী প্রচারকালে ভুয়া বিবৃতির ৪০০টি অভিযোগ তদন্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ইভস কোট। এর মধ্যে দুটি অথবা তিনটি অভিযোগের মীমাংসা হলেও কারো শাস্তি হয়নি।
কোট বলেন, ৪০০ সংখ্যাটিকে অনেক বড় দেখালেও অভিযোগগুলোকে প্রায় অর্ধ ডজন গুচ্ছে বিভক্ত করা হয়েছে যেগুলো মিথ্যা। অধিকাংশের ক্ষেত্রেই একই রকম ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে, যার অর্থ এটা একটি সংঘবদ্ধ চক্রের প্রচার।
সিনেট কমিটির সামনে বুধবার এক সাক্ষ্যে এসব কথা বলেন কোট। ফেডারেল সরকারের বাজেট বাস্তবায়ন বিলের ওপর প্রাক-গবেষণা পরিচালনা করছে এই কমিটি। বিলে কানাডার নির্বাচন আইনে সংশোধনী আনার বিষয়টিও রয়েছে। নির্বাচন চলাকালে ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে পড়া বন্ধ করার প্রভিশনটি বাতিল করে দেওয়া সুপ্রিমকোর্টের রায়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য আনাই এর উদ্দেশ্য।
লিবারেল সরকারের বড় পরিসরে নির্বাচন আইনের সংস্কারের অংশ হিসেবে ২০১৮ সালে প্রভিশনটি যুক্ত করা হয়। নাগরিকত্ব, জন্মস্থান, শিক্ষা, পেশাদারিত্বের যোগ্যতা, ফৌজদারি অপরাধ সংক্রান্ত অসত্য তথ দেওয়া অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে এতে।
কোট বলেন, ২০১৯ সালের নির্বাচনী প্রচারকালে যেসব ভুয়া বিবৃতির অভিযোগ পাওয়া গেছে তা পুরুষদের সম্পর্কে। কোট এবং প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা স্টিফেন পেরোল্ট উভেয়েই কমিটির সামনে নির্বাচন আইনে সংশোধনের পক্ষে তাদের মাতমত তুলে ধরেছেন। সূত্র দ্য কানাডিয়ান প্রেস।