টিডি ব্যাংক ১ জুন থেকে ফি বাড়াচ্ছে জানার পর থেকেই বিরক্তির শেষ নেই অড্রে উইলিয়ামসের। স্কারবোরোতে টিডি ব্যাংকের শাখার সামনে দাঁড়িয়ে তিনি বলছিলেন, প্রথমে চিঠিটি দেখে হাস্যকর মনে হয়েছিল। কয়েকদিন পর আবার যখন চিঠিটির দিকে তাকালাম তখন খুব রাগ হলো।
যদিও উইলিয়ামসের দীর্ঘদের লেনদেনের আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি এই মহামারির মধ্যেও শত শত কোটি ডলার মুনাফা করে যাচ্ছে। তার প্রশ্ন, তাহলে এটা হচ্ছে কী? এটা বিপদের মধ্যে থাকা লোকজনকে লাথি মেয়ে আরও পেছনে ফেলে দেওয়া।
উইলিয়ামসের মতো টিডি, সিআইবিসি, ব্যাংক অব মন্ট্রিয়ল ও স্কশিয়াব্যাংকের আরও অনেক গ্রাহক ফ্রি বৃদ্ধি নিয়ে সম্প্রতি গো পাবলিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তাদের সবাই ফি বৃদ্ধির সময় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তবে সবকিছু সতর্কতার সঙ্গে বিবেচনায় নিয়েই ফি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে গো পাবলিককে জানিয়েছে ব্যাংকগুলো। তাদের দাবি, গ্রাহকদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থাও রয়েছে।
তবে ব্যাংক বিষয়ক একজন সমালোচক বলেন, ব্যাংকগুলোকে কেউ থামাচ্ছে না বলেই তারা ফি বাড়াচ্ছে। ডেমোক্রেসি ওয়াচের সহ প্রতিষ্ঠাতা ডাফ কোনাচার বলেন, নাগরিকদের সহায়তায় ব্যাংকগুলোর আরও কিছু করা উচিত বলে এক বছর আগেই আহ্বান জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তার ও অর্থমন্ত্রীর সামনে সময় এসেছে ব্যাংকগুলোকে থামানোর।
উইলিয়মাস বলেন, ফি এড়ানোর জন্য সর্বনি¤œ ব্যালান্স ২ হাজার ডলার থেকে ৫ হাজার ডলার করেছে টিডি ব্যাংক। এটা একেবারেই অন্যায়। আমি যেখানে কাজ করি সেখানে অনেকেই চাকরি হারিয়েছেন এবং সিইআরবির আওতায় সরকারি সহায়তা পাওয়ার চেষ্টা করছেন। এ অবস্থায় কার সামর্থ আছে ফি এড়ানোর জন্য ৫ হাজার ডলার জমা রাখার?
জমার এই সীমা যাদের নেই তাদের কাছ থেকে ট্রানজ্যাকশন ফি বাবদ ১ দশমিক ২৫ ডলারের পরিবর্তে ১ দশমিক ৯৫ ডলার আদায় করছে টিডি ব্যাংক।
গত সপ্তাহে প্রকাশিত স্ট্যাটিস্টিকস কানাডার প্রতিবেদন বলছে, কানাডায় মূল্যস্ফীতি এক বছর আগের তুলনায় ৩ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে। ২০১১ সালের পর এটা সর্বোচ্চ বৃদ্ধি।
এ অবস্থায় বিএমও এবং স্কশিয়াব্যাংকও বিভিন্ন সেবার ফি বাড়িয়েছে। বিএমওর দীর্ঘদিনের গ্রাহক কিষাণ গুনজাল এ ঘটনায় ব্যাংকের ন্যায়পালের কাছে একটি চিঠি লিখেছেন। চিঠিতে তিনি বলেছেন, ব্যাংকগুলোর বিভিন্ন সেবার ফি বাড়ানোর সময় এটা নয়। আমাদের নৈতিকতার বিষয়টি দেখা উচিত।
বিএমওর একজন মুখপাত্র গো পাবলিকের কাছে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেছেন, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ পাক্ষিকভিত্তিতে পরিকল্পনা পর্যালোচনা করে থাকে এবং কোনো পরিবর্তন আনা হলে সতর্কতার সঙ্গে সব দিক বিবেচনা করেই তা আনা হবে।