রেজিস করচিনস্কি-প্যাকুয়েট নামে টরন্টোর এক নারীর মৃত্যুকে ঘিরে দেওয়া বক্তব্যের জেরে পুলিশের সমালোচনার মুখে পড়েছেন এনডিপি নেতা আন্দ্রিয়া হরওয়ার্থ। অ্যাপার্টমেন্টে পুলিশ উপস্থিত থাকার পরও ২০২০ সালের ২৭ মে ২৪ তলা থেকে পড়ে মারা যান ওই নারী। এজন্য পুলিশের ভুলকে দায়ি করেছেন হরওয়ার্থ।
প্রদেশের পুলিশ ওয়াচডগকে এ ঘটনা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় এবং তদন্ত শেষে ছয় পুলিশ কর্মকর্তাকেই অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। সে সময় বলা হয়, ঘটনার সময় প্যাকুয়েট একাই ব্যালকনিতে ছিলেন এবং পাশের একটি ব্যালকনিতে যাওয়ার চেষ্টার সময় তিনি ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে যান।
বৃহস্পতিবার ছিল প্যাকুয়েটের মৃত্যুর এক বছর পূর্তী। এদিন টুইটারে হরওয়ার্থ প্যাকুয়েটের মৃত্যুকে হত্যা আখ্যায়িত করে বলে, তার পরিবারের সদস্যরা এক বছর পরও এ ঘটনার ন্যায়বিচার পাননি। ওই সময় প্যাকুয়েটের সাহায্যের দরকার ছিল এবং সেটা দিতে পারা ও দেওয়াটাই দরকার ছিল।
হরওয়ার্থের এ মন্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায় এবং অনেকে তার বিরুদ্ধে ঘটনাটি নিয়ে রাজনীতি করার অভিযোগ আনেন। রেমার টুইটারে লেখেন, প্যাকুয়েটের অ্যাপার্টমেন্টে যাওয়া পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের দায়িত্বের প্রতি সজাগ থেকে আইন অনুযায়ী সবকিছু করেছিলেন। এ নিয়ে অন্য কিছু বলা বিভেদ সৃষ্টিমূলক ও দায়িত্বহীনতার সামিল।
পৃথক পোস্টে এ নিয়ে মন্তব্য করেন টরন্টো পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট জন রিড। তিনি বলেন, প্যাকুয়েট খুন হননি এবং মিথ্য গল্প বানিয়ে পুলিশকে খলনায়ক বানানোটা ন্যায়বিচার নয়। একইভাবে একটি স্বাধীন তদন্তের স্বচ্ছতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করাও ন্যায়বিচার নয়। আপনি যদি আরও ভালো কিছু করতে চান, তার উপায় এটা নয়।
হরওয়ার্থের বক্তব্যকে দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে উল্লেখ করেছেন অন্টারিও অ্যাসোসিয়েশন অব চিফস অব পুলিশ এক্সিকিউটিভ জেফ ম্যাকগুইয়ার।
স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন ইউনিটের (এসআইইউ) প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই ঘটনায় পুলিশ পৌঁছানোর আগে পরিবারের সদস্যদের মারামারি হয় এবং ৯১১ এ কল করা হয়। প্যাকুয়েট এপিলেপ্সিতে ভুগছিলেন এবং অসংলগ্ন আচরণ করছিলেন। যদিও এপিলেপ্সিকে সরাসরি মানসিক অসুস্থতা বলা যায় না।