
ব্যক্তিগত সফরে দেশের বাইরে যাওয়ার পর ফিরে এসে মাস্ক পরিধান ছাড়াই সংবাদ সম্মেলন করায় সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে অন্টারিওর জনস্বাস্থ্য বিভাগের চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. কিয়েরান মুর। তবে এ সমালোচনাকে পাত্তা দিচ্ছেন না তিনি।
সমালোচকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেছেন, মাস্ক না পরে ডা. মুর ফেডারেল আইন লঙ্ঘন করেছেন। কারণ, ফেডারেল আইনে কেউ বিদেশ থেকে ফিরলে জনসমক্ষে মাস্ক পরিধান ও ১৪ দিনের জন্য কোয়ারেন্টিনের বিধান রয়েছে।
কিন্তু বৃহস্পতিবার সিপি২৪কে দেওয়া নএক সাক্ষাৎকারে ডা. মুর বলেন, তিনি ভুল কিছু করেন নি। তিনি এই ইঙ্গিত করেন যে সংবাদ সম্মেলনটি পাবলিক স্পেসে ছিল না। আমি শারীরিক দূত্ব বজায় রাখি। আমি প্রতিদিন স্ক্রিনিংয়ের মধ্যে যাই এবং আমি চার ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছি। সংবাদ সম্মেলনের সময় আমি মাস্ক খুলে রেখেছিলাম। মাস্ক পরে সংবাদ সম্মেলন করাটা আমার কাছে কঠিন মনে হয়। কিন্তু আমি লোকজনকে শুধু এটা বলতে চাই যে, সংবাদ সম্মেলনটি পাবলিক স্পেসে ছিল না। ফেডারেল আইনে পাবলিক স্পেসে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরিধানের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সেটা কেবলমাত্রা গণমাধ্যমের কর্মীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। আমার সামনে যারা ছিলেন তাদের সিংহভাগই মাস্ক পরে ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীসহ অন্যান্য বিশিষ্টজনেরাও আন্তর্জাতিক ভ্রমণ থেকে ফিরেছেন এবং তারাও সংবাদ সম্মেলনে মাস্ক পরেননি। জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত অন্যান্য বিধিনিষেধ শিথিল করার পরও ফেডারেল পর্যায়ে কেবল মাস্ক পরিধানের আইন বলবৎ আছে। কখন এই বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা হবে বা কীভাবে তা কার্যকর করা হবে সরকার তা বলেনি।
মহামারির ষষ্ঠ ঢেউয়ের বিষয়ে অন্টারিওবাসীকে জানানোর দাবি বাড়তে থাকার মধ্যেই সাম্প্রতিক ছুটি কাটালেন ডা. মুর। গত সপ্তাহের এক পর্যায়ে, ডা. মুর যখন দেশের বাইরে ছিলেন, প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ডকে তার (ডা. মুর) অনুপস্থিতির বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু অন্টারিওর জনস্বাস্থ্য বিভাগের চিফ মেডিকেল অফিসার যে কিছুদিনের জন্য ছুটিতে রয়েছেন তা স্বীকার করেননি ডগ ফোর্ড। উল্টো ডা. মুরের কাজের নৈতিকতার পক্ষে সাফাই গান তিনি। ফোর্ড বলেন, সংখ্যা ও পরিসংখ্যানে চোখ রেখে ২৪ ঘণ্টাই কাজের মধ্যে থাকেন ডা. মুর।