গত মাসে রাশিয়া যখন ইউক্রেন অভিযান শুরু করে তখন ভ্যানকুভারের প্রযুক্তি কোম্পানি ভ্যানহ্যাক ইউক্রেনের নাগরিকদের সাহায্যের জন্য এতোটাই উদগ্রিব ছিল যে, তাৎক্ষণিকভাবে চাকরি স্থানান্তরে আগ্রহী ইউক্রেনীয় প্রযুক্তি কর্মীদের জন্য একটি ডিরেক্টরি খুলে বসে। ইউক্রেনীয়দের নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে প্লেসমেন্ট ফি ছাড় দেওয়ার বা অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করে কোম্পানিটি। দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে এ ধরনের ২২৬টি কোম্পানির সন্ধান পাওয়া যায় যারা কীভাবে ইউক্রেনীয় প্রযুক্তিকর্মীদের কীভাবে নিয়ে আসা যায় তা জানার আগ্রহ প্রকাশ করে।
ভ্যানহ্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলিয়া ব্রটজকি বলেন, এটা অভাবনীয়। ব্রটজকির জন্ম রাশিয়ায় এবং নিয়মিতই তিনি ইউক্রেনে তার প্রপিতামহের সঙ্গে দেখা করতেন। তিনি বলেন, সত্যিই এ ধরনের কিছু আগে কখনো দেখিনি। এটা সত্যিই উৎসাহব্যঞ্জক।
ভ্যানহ্যাক এরইমধ্যে দুই ইউক্রেনীয় কর্মীকে কানাডায় চাকরি পেতে সহায়তা করেছে। তবে ইউক্রেনীয় প্রযুক্তিকর্মীদের ওপর চোখ পড়া তারাই একমাত্র কোম্পানি নয়। আরও অসংখ্য কানাডিয়ান প্রযুক্তি কোম্পানি মানবিক সহায়তা দিতে আগ্রহী। তাছাড়া কর্মী সংকটও রয়েছে, যা তাদেরকে ইউক্রেনীয়দের তাদের কর্মীবাহিনীতে যুক্ত করে নিতে উদ্বুদ্ধ করছে।
মন্ট্রিয়লের এফএক্স ইনোভেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জিলাউম ব্যাজিনেট বলেন, অবশ্যই আমাদের প্রতিভাবানদের দরকার এখানে। এই মুহূর্তে আমরা বড় ধরনের প্রতিভা সংকটে রয়েছি। ইউক্রেনের ঘটনার আগে আমরা সবাই সারা বিশ^ থেকে প্রতিভাবানদের আকর্ষণে কৌশল ও সমাধান খোঁজার চেষ্টায় ছিলাম।
মহামারি মানুষকে পেশা নিয়ে পুনর্বিবেচনার সুযোগ করে দেওয়ায় প্রযুক্তি খাতে কর্মী সংকট ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। যদিও মহামারির আগেও কানাডিয়ান কোম্পানিগুলো সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, প্রোগ্রামার ও অন্য ডেভেলপারদের ধরে রাখতে হিমশিম খাচ্ছিলো। অধিকাংশ সময়ই আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি জায়ান্টরা উচ্চ বেতনে তাদেরকে প্রলুব্ধ করে।