
রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে পালাতে বাধ্য হওয়া যেসব ইউক্রেনীয় নাগরিক ও পরিবার কানাডায় আশ্রয় নিতে আগ্রহী তাদের কাছ থেকে আবেদন গ্রহণ শুরু করেছে ফেডারেল সরকার। এই কর্মসূচির আওতায় অনির্দিষ্ট সংখ্যক ইউক্রেনীয়কে কানাডায় আসার সুযোগ দেওয়া হবে। দুই সপ্তাহ আগে দেওয়া এ ঘোষণা কানাডার প্রথাগত শরনার্থী নীতি থেকে সরে যাওয়ারই ইঙ্গিত।
কানাডার অভিবাসন মন্ত্রী শন ফ্রেজার বলেছিলেন, স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য আবেদনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগ পর্যন্ত ইউক্রেনীয় নাগরিকদের দুই বছর কানাডায় বসবাসের অনুমতি দেওয়া হবে।
তবে সরকার এরপর মেয়াদটি তিন বছর পর্যন্ত বাড়িয়েছে এবং জাতীয়তা নির্বিশেষে ইউক্রেনীয় পরিবারগুলোতে এই সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। জটিল আবেদনগুলো বাদ দিলে দুই সপ্তাহের মধ্যে আবেদনগুলোর প্রক্রিয়াকরণ সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, আবেদনগুলো অনুমোদন হওয়ার পর ইউক্রেনীয় নাগরিকদের আনতে ভাড়া করা বিমান পাঠানোর বিষয়টি উন্মুক্ত রেখেছে কানাডা। যদি পর্যাপ্ত চাহিদা থেকে থাকে তাহলে আামরা সেটা করব। যেমন আমরা বিমান পাঠাবো। আমরা সেটা ভেবে দেখছি। সেটা করতে আমরা সব সময়ই তৈরি।
জাতিসংঘের শরনার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের তথ্য অনুযায়ী, রাশিয়ার আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে ৩০ লাখ ইউক্রেনীয় দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই নারী, শিশু ও বয়স্ক মানুষ।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো গত সপ্তাহে পোল্যান্ডের ওয়ারশতে ইউক্রেনীয় শরনার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। অনেকেই এ সময় তাকে বলেন, যুদ্ধের ফলাফল কী দাঁড়ায় তা দেখার জন্য তারা দেশের কাছাকাছি থাকতে চান।
একই সঙ্গে নতুন এই ফেডারেল কর্মসূচির আওতায় ইউক্রেনীয়রা কানাডায় থাকবেন নাকি ফিরে যাবেন সে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে সাময়িকভাবে বসবাস করতে, কাজ করতে ও পড়ালেখা করতে পারবেন। কানাডায় যেসব ইউক্রেনীয় এরইমধ্যে সাময়িকভাবে থাকার অনুমতি পেয়েছেন তারাও তিন বছর পর্যন্ত বসবাসের অনুমতির জন্য আবেদন করতে পারবেন।