
প্রাইমারি স্কুলে এডুকেশন কোয়ালিটি অ্যান্ড অ্যাকাউন্টেবিলিটি (ইকাও) মানদন্ডের পরীক্ষা আবার শুরু করার কথা জানিয়েছে ফোর্ড সরকার। মহামারির কারণে দুই বছর বন্ধ থাকার পর আসছে বসন্ত থেকে তা শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে আবারও পুরোপুরি দূর শিক্ষণের সুযোগ দিতে স্কুল বোর্ডগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সশরীরে পাঠ প্রথম পছন্দ হলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা চান সব স্কুল বোর্ড যেনো পছন্দের একটা সুযোগ রাখে, যাতে করে বাবা-মায়েরা চাইলে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে দূরশিক্ষণকে বেছে নিতে পারেন। কোভিড-১৯ মহামারির পরিবর্তনশীল ধরনকে বিবেচনায় নিয়েই এ সিদ্ধান্ত।
পরবর্তী বছরেও কেন দূর শিক্ষণ অব্যাহত রাখতে চান শিক্ষামন্ত্রী স্টিফেন লেচি সে প্রসঙ্গে বলেন, প্রদেশের ২০ লাখের বেশি শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রায় দেড় লাখ এ বছর অনলাইনে পাঠ নিয়েছে। ছোট শিশুদের জন্য এটা যে একটা শক্তির জায়গা সেটা আমরা বাবা-মা ও কিছু শিক্ষাবিদের কাছ থেকে শুনেছি।
এই বসন্তের কোনো এক সময় থেকে অন্টারিওর সব প্রাইমারি স্কুল গ্রেড ৩ ও গ্রেড ৬ এ স্ট্যান্ডার্ডাইজড পরীক্ষা শুরু হবে। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে দুই বছর ধরে বন্ধ আছে পরীক্ষাটি। কর্মকর্তারা বলছেন, দুই বছর স্কুল বন্ধ থাকার পর শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কোথায় আছে তা মূল্যায়ণে এটি প্রয়োজন।
কিছু স্কুল স্ট্যান্ডার্ডাইজড পরীক্ষা ২০২১ সালের হেমন্তে শুরু করেছে। এ পর্যন্ত ১ লাখ ৪০ হাজার শিক্ষার্থী গ্রেড ৯ এ গণিত ও গ্রেড ১০ এ সাহিত্যে পরীক্ষাটিতে অংশ নিয়েছে।
এদিকে স্কুল পরিচালনায় অ্যানুয়াল গ্র্যান্টস ফর স্টুডেন্ট নিডস নামে পরিচিত সার্বিক তহবিলের পরিমাণ এ বছরের ২ হাজার ৫৬০ কোটি ডলার থেকে বাড়িয়ে ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ২ হাজার ৬১০ কোটি ডলার করা হবে। সশরীরে ও অনলাইন শিক্ষার্থীদের টিউটরিং তহবিল বাবদ অতিরিক্ত ১৭ কোটি ৬০ ডলারের ঘোষণা দিয়েছেন কর্মকর্তারা। আর স্কুলে বিশেষ শিক্ষার বাজেট ৯ কোটি ৩০ লাখ ডলার বাড়িয়ে ৩২৫ কোটি ডলার করার কথা বলা হয়েছে।
ইকাও স্ট্যান্ডার্ডাইজড পরীক্ষা বাতিল চেয়ে বিবৃতি দিয়েছে অন্টারিওর গ্রিন পার্টি।