যৌন অসদাচরণের শিকার কানাডার সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের দাবি সংক্রান্ত গোপন তথ্য প্রকাশ করে দিয়েছে এপিক ক্লাস অ্যাকশন সার্ভিসেস কানাডা নামের একটি কোম্পানি। ফেডারেল সরকার এবং যৌন অসদাচরণের শিকার সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ও সাবেক কর্মকর্তাদের সঙ্গে ৯০ কোটি ডলারের চুক্তি সম্পাদনে কাজ করে কোম্পানিটি।
অবসরপ্রাপ্ত এক সেনা সদস্য গত সপ্তাহে একটি ইমেইল পান। একই ইমেইল আরও ৪০ জনের বেশি মানুষকেও পাঠানো হয়। এর পর ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের বিষয়টি নিশ্চিত করে এপিক ক্লাস অ্যাকশন সার্ভিসেস কানাডা।
অবসরপ্রাপ্ত মাস্টার করপোরাল অ্যামি গ্রিন বলেন, আমার নাম, ইমেইল ঠিকানা ও অভিযোগের সংখ্যা আমাকে পাঠানোর বিষয়টি অবাক করার মতো। অভিযোগের ফাইলের সুনির্দিষ্ট তথ্যে প্রবেশের জন্য এগুলো যথেষ্ট। চাইলে শুধুমাত্র লগ ইন করেই তাদের ফাইলের যেকোনো তথ্য আমি ডাউনলোড করতে পারবো। কারণ, তাদের ইমেইল ঠিকানা ও দাবির আইডি আমার কাছে আছে। তাই যেকোনো কিছুই আমি বদলে দিতে পারি।
২০১৪ সালে সশস্ত্র বাহিনীর চাকরি ছেড়ে অ্যামি গ্রিন এখন অন্টারিওর লন্ডনে বসবাস করছেন।
সশস্ত্র বাহিনীতে যৌন অসদাচরণ সংক্রান্ত তিনটি ক্লাস অ্যাকশন মামলায় ২০১৯ সালে অভিযোগকারীদের সঙ্গে চুক্তিতে পৌঁছায় ফেডারেল সরকার। এরপর বিষয়টি মীমাংসার প্রক্রিয়াগত কাজ সম্পাদনের দায়িত্ব দেওয়া হয় এপিককে।
এ ব্যাপারে মন্তব্য জানতে চাইলে এপিকের মুখপাত্র অ্যাঙ্গেলা হোইডাস বলেন, ক্ষতিপূরণ চেয়ে যে ২০ হাজার মানুষ আবেদন করেছিলেন তাদের মধ্য থেকে সামান্য সংখ্যক অর্থাৎ ১০০ জনেরও কম ব্যক্তির তথ্য অন্য দাবিদারদের কাছে চলে গেছে। এপিকের তদন্তে এটা অনিচ্ছাকৃত ভুল বলে প্রমাণিত হয়েছে। এ ধরনের ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য আমরা তড়িৎ পদক্ষেপ নিয়েছি। সেই সঙ্গে প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও গ্রহণ করেছি। যাদের ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ হয়ে পড়েছে তাদের সবার সঙ্গেই যোগাযোগ করা হয়েছে। ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষার গুরুত্বের বিষয়টি কোম্পানি পুরোপুরি অনুধাবন করে এবং এ ভুলের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে।